ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় ভোর চারটে। সানি লিওনির বাড়িতে আচমকাই হাজির হলেন গায়ক মিকা সিং। কেন? সে কথা ফাঁস করেছেন গায়ক নিজেই। একই সঙ্গে তাঁর আর্জি, ‘আমায় ভুল ভাববেন না…’।
ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু বছর আগে। তবে সানির মুম্বইয়ের বাড়িতে নয়, কপিল শর্মার শো’য়ে এসে মিকা জানিয়েছেন সানির লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িতেই ভোর চারটের সময় হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “অত দেরিতে পৌঁছেছিলাম কারণ আমার দেরি হয়ে গিয়েছিল। কেউ কিন্তু খারাপ কিছু ভেবো না। অন্য ভাবে নিয়ো না”। অত সকালে গায়ককে আসতে দেখে কী করেছিলেন সানি? মিকা জানিয়েছেন, সানি তো বিরক্ত হনইনি। বরং সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তাঁকে।
কপিলের অতিথি হয়ে এসেছিলেন সানি ও মিকা। সেখানেই সঞ্চালকের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন তাঁরা কপিল সানির কাছে অনুযোগ করেন, বেশ কিছু ধরেই নাকি সানির সঙ্গে তাঁর দেখা হচ্ছে না। পাল্টা সানি বলেন, “হ্যাঁ, তুমি তো আমায় ফোন করোনা না। হাই বলো না। কপিলও ছাড়ার পাত্র নন। কমেডি কিংয়ের জবাব, “তোমার ফোন নম্বরের অপেক্ষা করতে করতেই আমার বিয়ে হয়ে গেল”।
দিন কয়েক আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সানি। ঘটনার সূত্রপাত একটি গান নিয়ে। গানটির নাম মধুবন মে রাধিকা নাচে রে। ১৯৬০ সালে মহম্মদ রফির কন্ঠে গাওয়া এই গানের একটি রিমেক ভার্সন বের হয় সম্প্রতি। রিমেক ভার্সনের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সানি লিওনিকে। রিমেক গানটি গেয়েছেন কনিকা কাপুর ও অরিন্দম চক্রবর্তী। নির্মাতা ও গায়ক শারিব ও তোশী। নাচটিতে সানির পোশাক থেকে শুরু করে, গায়কী নিয়েই আপত্তি জানায় নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। আপত্তি উঠে আসে উত্তরপ্রদেশের মথুরার পুরোহিতদের তরফেও। তাঁদের অভিযোগ রাধাকে নিয়ে এমন গান আদপে হিন্দুধর্মের ভাবাবেগে আঘাত। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেন, “বিধর্মীরা হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হানছে। আমি সানি লিওনি, শারিব ও তোশীজিকে পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি, যদি তিনি দিনের মধ্যে গানটি না মুছে তাঁরা ক্ষমা না চান তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে চাপের মুখ খোলে গানটির প্রযোজনা সংস্থা সারেগামাও। একটি বিবৃতিতে তাঁরা জানান, গানের লিরিক্সের বদল করে করে নতুন গান নিয়ে আসবেন তাঁরা। আরও দাবি করেন, আগামী তিন দিনের মধ্যেই যাবতীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে সানির মধুবন মুছে ফেলবেন তাঁরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন