ক্যামেরুনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানাউদা মালাচি বলেছেন, 'ওই ঘটনায় যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের সব রকম সাহায্য করা হবে। চিকিত্সা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা যাতে না হয়, সে দিকে নজর রাখা হয়েছে।
আফ্রিকান নেশন্স কাপে (Africa Cup Of Nations) ক্যামেরুনের (Cameroon) ম্যাচে ধুন্দুমার কাণ্ড। জাতীয় টিমের ম্যাচ দেখার জন্য ওলেম্বে স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় হঠাত্ই তাণ্ডব শুরু হয়।
তাতে পড়ে মারা পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন আটজন। ৫০ জনেরও বেশি মারাত্মক ভাবে আহত। ফুটবল মাঠে ঝামেলার ঘটনা কম নেই। কিন্তু মাঠে ঢুকতে গিয়ে এ ভাবে প্রাণ হারানোর ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি।
এর আগে ২০১৫ সালে ইজিপ্টে (Egypt) একটা ম্যাচের সময় মাঠে ঢুকতে গিয়ে ১৯জন দর্শক মারা গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে জোহানেসবার্গে একটা ফুটবল ম্যাচে মাঠে ঢুকতে গিয়ে মারা গিয়েছিল ৪৩জন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম।
জানা যাচ্ছে, করোনার কারণে মাঠে ৬০ শতাংশের বেশি দর্শক ঢোকার ক্ষেত্রে আয়োজক দেশ ক্যামেরুনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। যা তোয়াক্কা না করে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তখনই ঘটেছে এই ঘটনা।
যে আটজন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন মধ্য তিরিশের মহিলা, দু’জন মধ্য তিরিশের পুরুষ, এক শিশুও রয়েছে। আরও একজন মারা গিয়েছেন। তবে বডি নিয়ে তাঁর পরিবার চলে যাওয়ায় বিস্তারিত জানা যায়নি।
ওই ঘটনা পর অবশ্য ক্যামেরুন ফুটবল সংস্থা দেরি করেনি। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্টেডিয়ামের বাইরের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ম্যাচ কিন্তু হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে কোমোরোসকে ২-১ হারিয়েছে ক্যামেরুন।
৬০ হাজার দর্শক ধরে ওলেম্বে স্টেডিয়ামে। কিন্তু করোনার কারণে ৬০ শতাংশের বেশি দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা একেবারেই মানতে পারেননি দর্শকরা। নেশন্স কাপে ক্যামেরুনের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল তারা।
তাড়াহুড়ো করে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটে। পুলিশ ভূমিকা কী ছিল ওই সময়, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল বা সিএএফ।
ক্যামেরুনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানাউদা মালাচি বলেছেন, ‘ওই ঘটনায় যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের সব রকম সাহায্য করা হবে। চিকিত্সা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা যাতে না হয়, সে দিকে নজর রাখা হয়েছে।.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন