মাংকিপক্স ভাইরাসের প্রকোপের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা


ব্রাজিলের থিয়াগো আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন। থাকেন সাও পাওলো শহরে। কিছু উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়ার পর জানতে পারলেন যে তিনিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যানের অংশ হয়ে গেছেন।


তার শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা দিয়েছিল সেগুলো হচ্ছে: প্রচণ্ড জ্বর, ক্লান্তি, কাঁপুনি এবং সারা শরীরে ঘা।


কিন্তু যে সমস্যাটি তার কাছে তীব্র হয়ে ওঠে ছিল তা হচ্ছে যৌনাঙ্গ ও তার আশেপাশে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং জ্বালাপোড়া করা। তিনি বলছেন তার যৌনাঙ্গের ত্বকে কমপক্ষে ন'টি জায়গায় ঘা তৈরি হয়েছিল।

এর ফলে ব্যথা করতো, এবং প্রচুর চুলকানি হতো," বিবিসি নিউজ ব্রাজিলের কাছে তিনি তার এই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন, "পুরো জায়গাটা ফুলে ওঠেছিল, কখনো কখনো মনে হতো ওখানে আগুন ধরে গেছে।"


যে ভাইরাসের কারণে স্মলপক্স হয়, সেই একই পরিবারের একটি ভাইরাস মাংকিপক্স সংক্রমণের জন্য দায়ী। তবে এটি অতোটা মারাত্মক নয়। আক্রান্ত প্রাণী যেমন বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।


মানুষ থেকে মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ তেমন একটা দেখা যায় না। তবে কেউ যদি আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসেন, তাহলে তার দেহেও এই ভাইরাসটির সংক্রমণ হতে পারে।


ফেটে যাওয়া চামড়া, চোখ এবং মুখের পাশাপাশি এটি শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত যেসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে- যেমন ফুসফুস, শ্বাসনালী, এসবের মধ্য দিয়েও মানুষের দেহে প্রবেশ করে।


কেউ যদি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কাপড়, বিছানা এবং তোয়ালে স্পর্শ করেন তাহলে এসবের মাধ্যমেও রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কিপক্স সম্পর্কে যা জানা যায়

মাংকিপক্স ভাইরাস সাধারণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকাতে, আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে রেইনফরেস্ট এলাকায় দেখা যায়।


এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের দুটি প্রজাতি সম্পর্কে জানা যায়- পশ্চিম আফ্রিকান ও মধ্য আফ্রিকান।


এ-দুটো প্রজাতির মধ্যে মধ্য আফ্রিকান ধরনটি একটু মৃদু যা এখন পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে।


এখন যে আফ্রিকার বাইরেও অস্বাভাবিক হারে প্রচুর সংখ্যক মানুষ মাংকিপক্সে আক্রান্ত হচ্ছে এবং তারা কখনও ওই অঞ্চলে ভ্রমণও করেন নি, সেকারণে ধারণা করা হচ্ছে যে ভাইরাসটি এখন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।


আরো পড়ুন: