ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে যাচ্ছে বলে যেসব গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে তার সবগুলোই অস্পষ্ট। তিনি এ দাবিও করেছেন যে, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও মস্কো এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে এসেছে।
ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ আক্রমণের জবাবে ইউক্রেনীয়দের প্রশিক্ষণ দিতে সেখানে গত সপ্তাহে উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রসহ সেনাদল পাঠিয়েছে ব্রিটেন। রুশ-ইউক্রেন উত্তেজনা নিয়ে সম্ভাব্য সঙ্কট এড়াতে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ব্রিটেনের একটি সি-১৭ বিমান ইউক্রেনে পৌঁছেছে।
এছাড়া, ব্রিটিশ উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস হিপি বলেছেন, তার দেশ ইউক্রেনে ট্যাংক-বিধ্বংসী কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে।
আমেরিকাসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো অভিযোগ করছে, ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের মতো ইউক্রেনকেও দখল করতে চায় রাশিয়া। তবে মস্কো এখন পর্যন্ত বলে এসেছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অভিপ্রায় তার নেই। রাশিয়া অবশ্য পূর্বদিকে ন্যাটো জোটের বিস্তারের ঘোর বিরোধিতা করে এসেছে।
একইসাথে উত্তেজনা কমানোর জন্য ন্যাটো জোটের কাছে রাশিয়া এই জোট আর পূর্বদিকে এগোবে না বলে এই গ্যারান্টি চেয়েছে। তবে এরকম কোনো নিশ্চয়তা দিতে অস্বীকার করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ওয়াশিংটন। সোমবার থেকে ব্রিটেনও কিয়েভ থেকে নিজের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন