ঘরের মাঠে আজ বিশাল স্কোর গড়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দুই শ ছাড়ানো সেই স্কোরের জবাব ভালোই দিচ্ছিল সিলেট। একপর্যায়ে তাদের জয় দেখছিলেন অনেকে। কিন্তু সব সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
২০ বছর বয়সী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই পেস বোলিং অল-রাউন্ডার আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছেন। একে একে তুলে নিয়েছেন দারুণ খেলতে থাকা এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর রবি বোপারাকে। চট্টগ্রাম জিতেছে ১৬ রানে।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জেতা মৃত্যুঞ্জয় তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সম্পর্কে বলেন, সত্যি কথা বলতে গেলে প্রথমদিকে নার্ভাস ছিলাম না। প্রথমদিকে আমার পরিকল্পনায় ছিল যে ইয়র্কারটা ভালোভাবে করব। প্রথম ওভারে এক্সিকিউশনটা খুব ভালো হয়েছে। এ কারণে কোনো প্রেশার ছিল না। আর আমার কনফিডেন্স ছিল যে প্রথমদিকে যেহেতু দুটি ওভার ভালো হয়েছে, ইয়র্কার খুব ভালো পড়ছিল এ কারণে শেষের দিকে খুব ভালো আত্মবিশ্বাস ছিল যে ইয়র্কারটা খুব ভালো পড়বে। তো সেটা পড়েছে।
তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন অসাধারণ একটা পরিকল্পনা দিয়েছিলেন, স্টাম্প টু স্টাম্প বল করার। প্রথম ওভারটা হয়তো ওরকম হয়নি, তবে ট্রাই করেছি এবং পরবর্তী ওভারগুলোতে ইয়র্কার হয়েছে।
স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে এই তরুণ বলেন, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে পাঁচ উইকেট এবং হ্যাটট্রিক। তবে এরকম লেভেলে প্রথম ম্যাচে নেমেই এক্সপেক্ট করিনি। তবে এক্সিকিউশন যেহেতু ভালো হয়েছে সে ক্ষেত্রে প্রাপ্তি বলা যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন