Articles by "খেলা"

 


পেলের মৃত্যু এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ভক্তদের!

পেলে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। দীর্ঘদিন তিনি কোলন ক্যান্সারে ভুগেছেন। কাতার বিশ্বকাপের সময়টাতেই বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বিশ্বকাপ চলকালেই ব্রাজিল দল পেলের জন্য ছিল বেশ চিন্তিত। বিশ্বকাপের সময়টা হাসপাতালেই কেটে যায় পেলের। মাঝখানে তার সুস্থতার খবরও বেরিয়েছিল। তবে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরদিনের জন্য ওপারে চলে গেলেন ফুটবলের রাজা পেলে।

সারাবিশ্বে পেলে নামে বিখ্যাত ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তোর মৃত্যুর খবর এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না দেশটির মানুষের। সবার আশা ছিল লড়াই করে ফিরবেন তিনি।

ফুটবল সম্রাটের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। পরে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে।  

আগামী মঙ্গলবার পেলেকে সমাধিস্থ করা হবে সান্তোসের মেমোরিয়াল নেক্রোপোল একুমেনিকাতে। সেখানে অবশ্য শুধু তার পরিবারের সদস্যরাই থাকতে পারবেন। সোমবার ভোরে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সান্তোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। এই মাঠেই বহু স্মরণীয় গোল করেছিলেন পেলে। সাও পাওলোর বাসিন্দাদের কাছে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়াম তীর্থস্থান। সেখানেই ব্রাজিলের সাধারণ মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। 

আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |
  8. ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো ফোন 
  9. কম্পিউটার ভাইরাস কি ? কম্পিউটারে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি ?
  10. 10000-এর নীচে সেরা ফোন 


 


ঝিনাইগাতীতে ফজলুল হক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার এ.কে.এম ফজলুল হক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল  অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩,৩০মিনিটে খেলার উদ্ধোধন করা হয়। 

ঝিনাইগাতী ইয়ুথ ক্লাবের আয়োজনে ও উপজেলা ছাত্রলীগের  সাধারণ সম্পাদক মো. শাহরিয়ার খাঁন শাওন এর সভাপতিত্বে উক্ত খেলার শুভ উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও ফারুক আল মাসুদ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল হক। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ওসি (তদন্ত) আবুল কাশেম, আওয়ামীলীগ নেতা মোহসিনুল বারী রুমি, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ ভট্রাচার্য, জেলা পরিষদের সদস্য আবু তাহের, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ এ.কে.এম বেলায়েত হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, শাহাদত হোসেন, মোজাম্মেল হক, রুকুনুজ্জামান, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ক্ষুদ্র বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ প্রমুখ। 

মাসব্যাপী এ খেলায় শেরপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১২টি দল অংশ গ্রহন করে। ১২টি দলের চুড়ান্ত পর্বসহ মোট ১৯টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। চুড়ান্ড পর্বে বা গ্র্যান্ড ফাইনালে শেরপুর একটিভ ক্লাব ও সানসিটি ক্লাব, বকশীগঞ্জ উর্ত্তীর্ণ হয়।আজকের গ্র্যান্ড ফাইনাল খেলায় শেরপুর একটিভ ক্লাব বনাম সানসিটি ক্লাব বকশীগঞ্জ। উক্ত খেলায়  ভাষ্যকার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন, আশরাফুল হোসেন ও সোহেল রানা। 
উক্ত খেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ শতশত ক্রীড়ামোদীগণ এ খেলা উপভোগ করেন। 

উক্ত খেলায়সানসিটি ক্লাব বকশীগঞ্জ ১-০ গোলে বিজয় অর্জন করে। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিগণ। শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়

আরো পড়ুন:


 


আনন্দ মিছিলে গিয়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেলো আর্জেন্টিনার সমর্থকের

আর্জেন্টিনার জয়ের পরপরই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে আনন্দ মিছিল করতে গিয়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শাওন (১১) নামের দলটির এক ক্ষুদে সমর্থক প্রাণ হারিয়েছে।


রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের খিলা বাতাবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাওন মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা বড় বাড়ির মিলন মিয়ার ছেলে।

হাইওয়ে থানার এস আই ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খিলা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন জানান, এলাকায় সকলের সঙ্গে বাজারে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখছিল দলটির ক্ষুদে সমর্থক শাওন। আর্জেন্টিনার জয়ের পরপরই আনন্দ মিছিল বের করে স্থানীয় সমর্থকরা। ওই মিছিলে শাওনও অংশগ্রহণ করে। রাত সাড়ে ১২টায় তারা কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কে ছিল করে খিলা বাজারের দিকে আসছিল। তখন বাতাবাড়িয়া এলাকায় খিলাবাজার থেকে নাথেরপেটুয়াগামী একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সড়কে ছিটকে পড়ে মুহূর্তেই প্রাণ হারায় শাওন। 

দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন অন্তর নামে মোটরসাইকেলর এক আহোরী। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। 

আরো পড়ুন:


 


চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি পোল্যান্ড

ফরাসি ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা তারকা মিশেল প্লাতিনি। পরবর্তীতে উয়েফার সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৮০’র দশকে ফ্রান্স দলকে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট মানতো সবাই। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল ছিল শীর্ষ ফেবারিট। 

তবে মিশেল প্লাতিনি আর টিগানাদের ফ্রান্সও ছিল ফেবারিটের তালিকায়। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে তারা সেমিফাইনালে উঠে আসে। শেষ চারের লড়াইয়ে পাওলো রোসির ইতালির কাছে হেরে যায় ফ্রান্স। এরপর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ফ্রান্স। মিশেল প্লাতিনি সেই ম্যাচে খেলতে নামেননি। ফ্রান্স ৩-২ গোলে হেরে যায় পোল্যান্ডের কাছে।

চার দশক পর আবারও বিশ্বকাপে মুখোমুখি ফ্রান্স-পোল্যান্ড। এবার নকআউট পর্বের শুরুতেই আজ আল থুমামা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। কী অপেক্ষা করছে এই ম্যাচে! ফরাসিরা কী অতীত পরাজয়ের মোক্ষম একটা প্রতিশোধ নিতে চায়! এই ম্যাচে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সই ফেবারিটের তকমাধারী। অন্যদিকে আছে রবার্ট লেবানডস্কির পোল্যান্ড। বর্তমান বিশ্বের ফুটবল তারকাদের মধ্যে অন্যতম সেরা। ফিফার কাছ থেকেও সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন লেবানডস্কি। 

বল নিয়ে ছুটতে শুরু করলে তাকে থামানো কঠিন। অবশ্য পোলিশ আক্রমণের পুরোধা লেবানডস্কিই। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় পোল্যান্ডের খেলাটা। অন্যদিকে বহু প্রতিভাধারী ফ্রান্স। এই দলে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। মেসি-রোনালদো যুগের পর তাকেই ভাবা হচ্ছে যোগ্য উত্তরসূরি। তবে এমবাপ্পেই ফ্রান্সের ফুটবলে শেষ কথা নন। এখানে আছেন আঁতোয়ান গ্রিজমান। আছেন ওসমান ডেম্বলেরাও।

পোল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে বেশ সতর্ক ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। তিনি কেবল লেবানডস্কিকে নিয়ে ভাবছেন না। পাশাপাশি পোলিশ গোলরক্ষককে নিয়েও ভাবছেন। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত সব সেভ করেছেন স্কেজেসনি। 

এজন্যই দিদিয়ের দেশম গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘পোল্যান্ড দারুণভাবেই ডিফেন্ড করতে জানে। টুর্নামেন্টে তারা নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছে। তবে পোল্যান্ড মানেই কেবল ডিফেন্স ভালো তা নয়। 

তাদের আক্রমণভাগের দিকে তাকান। সেখানে লেবানডস্কির মতো তারকা আছেন।’ লেবানডস্কি ছাড়াও পোলিশ গোলরক্ষকের প্রশংসা করেছেন দেশম। ক্যারিয়ারে ২৬টা পেনাল্টি সেভ করেছেন স্কেজেশনি। রেকর্ডটা মাথায় রাখছে ফ্রান্স।
ফ্রান্স-পোল্যান্ড সবমিলিয়ে ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে আট বারই জয় পেয়েছে ফ্রান্স। তিনবার জয় পেয়েছে পোল্যান্ড। বাকি পাঁচবারই ড্র হয়েছে দুই দলের লড়াই। শেষবার পোলিশদের কাছে ফরাসিরা হেরেছে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে। এরপর সাত ম্যাচ খেলে সবকটিতেই অপরাজিত ফ্রান্স।

গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তিউনিসিয়ার কাছে হেরে গেছে ফ্রান্স। প্রথম একাদশে পরিবর্তন এনে পরাজয়ের শিকার হয়েছেন দিদিয়ের দেশম। তবে সেই পরাজয়টাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন তিনি। সাইডবেঞ্চের পরীক্ষা নিয়ে নিয়েছেন। তাদের সামর্থ্যরে কিছু নথিপত্রও হাতের কাছে রাখলেন। 

পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে নকআউট পর্বে আবার জয়ের পথে ছুটবে ফ্রান্স, এমনটাই আশা করেন দেশম। অধিনায়ক হুগো লরিসও গতকাল এমনটাই বলে গেলেন।

দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হচ্ছে পোল্যান্ড। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভালোই ধারণা আছে কোচ মিকনিবিজের। তারপরও নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিয়ে ভালো ফলাফল নিয়ে মাঠ ছাড়তে চায় পোল্যান্ড।

আরো পড়ুন:


 


কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন মেন্ডেজ

রাশিয়া বিশ্বকাপে উরুগুয়ের কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল পর্তুগালকে। এবার সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করলো পর্তুগাল। এই হারের ফলে গ্রুপ পর্ব থেকে উরুগুয়ের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেস।

তবে পর্তুগাল-উরুগুয়ে ম্যাচের ৪০তম মিনিটে হুট করেই মাঠে শুয়ে কাতরাতে শুরু করেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার নুনো মেন্ডেজ। তাতক্ষণিকভাবে খেলা বন্ধ রেখে মেডিকেল টিমকে মাঠে ডাকেন রেফারি। কিছুক্ষণ মাঠেই চলে চিকিৎসা। তবে এরপরেও খেলার জন্য প্রস্তুত হতে পারছিলেন না পিএসজি ডিফেন্ডার। তাই মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় তাকে। 

নিজ দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্যই বিশেষ কিছু। আর সেটা যদি হয় বিশ্বকাপের মঞ্চে, তাহলে তো কথাই নেই; সবাই-ই চেষ্টা করে নিজের সেরাটা দেওয়ার। এ কারণেই হয়তো আবেগটা ধরে রাখতে পারলেন না নুনো মেন্ডেজ। বিশ্বকাপের মঞ্চে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কেঁদেই ফেললেন পিএসজির এ লেফট ব্যাক। 
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় চোট পেয়েছেন মেন্ডেজ। তবে পর্তুগাল দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি এখনো।

আরো পড়ুন:


 


কাতারে স্টেডিয়ামসহ বিশ্বকাপ-সংক্রান্ত কাজে কতজন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে?

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ-২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অভিবাসী শ্রমিকদের শ্রমে এই বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, স্টেডিয়ামসহ বিশ্বকাপের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে অসংখ্য অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের অধিকার যেমন- যথাযথ বেতন প্রদান করা হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের ‘মনুষ্য মূল্য’ (হিউম্যান কষ্ট) কী এ নিয়ে একটি বিশেষ সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। যাতে অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুসহ বিভিন্ন প্রশ্নের ব্যাখা দেওয়া হয়েছে। 

কাতারে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা কত, তারা কোন দেশ থেকে এসেছেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, কাতারের মোট জনসংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে শতকরা ৮৮ শতাংশই বিদেশি নাগরিক। দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকের আনুমানিক সংখ্যা ২০ লাখ। এটা কাতারের মোট কর্মশক্তির ৯৫ শতাংশ। গার্ডিয়ানের খবর অনুসারে, প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক কাতারের নির্মাণ কাজে জড়িত। বাকি ১০ লাখ গৃহকর্মী যার অধিকাংশই পুরুষ। এই শ্রমিকদের বড় অংশ ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ এশীয় দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশের নাগরিক।

বিশ্বকাপ আয়োজনে মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা/অবকাঠামো তৈরি  করতে গিয়ে আসলে কতজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন? 

কাতার কর্তৃপক্ষ অফিশিয়ালি জানিয়েছে, সরাসরি বিশ্বকাপ সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে মাত্র ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট নয় এমন ৩৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে অনেকের ধারণা, নিহত শ্রমিকের সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন। কারণ, তথ্য সহজলভ্য নয়। ফিফা এবং কাতারি সংস্থাগুলো বিশ্বকাপ সংক্রান্ত নির্মাণকাজ নিয়ে নিজেদের দূরে রেখেছে। তবে এটা ঠিক যে, কর্তৃপক্ষের আনুমানিক ১২ লাখ দর্শকের জন্য প্রস্তুত হওয়ার তাড়া ছিল।

গার্ডিয়ান বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সার্বিকভাবে ১৫ হাজার ২১ জন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সালে গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, টুর্নামেন্টের স্বত্ব পাওয়ার পর ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার সাড়ে ৬ হাজারের অধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই শ্রমিকরা ঠিক কোন পেশায় ছিল এবং কোথায় কাজ করছিল সেটার তালিকা করা হয়নি। কাতার সরকার বলেছে, বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণে ৩০ হাজার বিদেশি শ্রমিক নিযুক্ত ছিল। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা (আইএলও) এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০২০ সালে ৫০ জন বিশ্বকাপ সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন, গুরুতর আহত হন ৫০০ এবং সামান্য থেকে মধ্যম ধরনের আহত হন ৩৭ হাজার শ্রমিক। 

শ্রমিকরা কীভাবে মারা গেছে?

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাস কাতারে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অধিক তাপমাত্রা অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর প্রধান কারণ, গ্রীষ্মকালীন তীব্র দাবদাহকে দায়ী করে কাতার। জাতিসংঘের শ্রমবিষয়ক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানে- দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকরা বাইরে কাজের সময় বছরের কমপক্ষে চার মাস তীব্র দাবদাহের মুখোমুখি হন বলে উঠে আসে। ২০১৪ সালে কাতার সরকারের নিজস্ব আইনজীবীরা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যে অভিবাসী শ্রমিকরা মারা যান, তাদেরকে নিয়ে গবেষণা এবং অপ্রত্যাশিত ও হঠাৎ মারা যাওয়া শ্রমিকদের ময়নাতদন্তের সুপারিশ করে দেশের বিদ্যমান আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দেন। যদিও সরকার এখনও আইনজীবীদের এই পরামর্শ বাস্তবায়ন করেনি।

শ্রমিকদের নিয়ে কাতার কী পদক্ষে নিয়েছে ? 

বিগত পাঁচ বছরে কাতার শ্রমিক আইন সংশোধন করেছে। তবে সমালোচকেরা বলেছেন, শ্রমিকদের রক্ষায় এটা যথেষ্ট নয়। অ্যামনেন্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, কাতারের কর্তৃপক্ষ অনেক শ্রমিকের বেতন প্রদানে বিলম্ব করে, অনেক শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয় না, তাছাড়া রয়েছে অনিরাপদ কর্মপরিবেশ। কাতার অনেক শ্রমিকের মৃত্যুর তদন্ত না করে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হিসেবে গণ্য করেছে।

ফুটবল কর্তৃপক্ষ  কী বলছে?

ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফানতিনো ফুটবল দলগুলোকে ফুটবল খেলায় মনোনিবেশ (ফোকাস) করার আহ্বান জানান। শ্রমিক সংক্রান্ত কাফালা সংস্কারে ফিফা কর্তৃপক্ষ নিজেদের ক্রেডিট দাবি করে। কাতারের সমালোচনা করাকে ‘পশ্চিমাদের ভণ্ডামি’ বলে মন্তব্য করেন ফিফা সভাপতি।












 


সৌদির কাছে হারলেই শেষ হয়ে যায় না আর্জেন্টিনা

সময়ের হিসাব মেলায় মহাকাল, ঘটনার ঘনঘটার এ বিশ্বে দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। আর চাকতির মতো ঘোরা বিশ্বে অঘটনও অস্বাভাবিক কিছু নয়। 

নিশ্চয়তা যেখানে বেশি, অনিশ্চয়তা সেখানে অনিবার্য পরিণতি নয় কি? আর সেই সময় স্রোতে আটকে গিয়ে আর কী বা করতে পারতেন ফুটবল গ্রহের কেন্দ্রবিন্দু লিওনেল মেসি।

টানা ৩৬ ম্যাচ জয়ের নিশ্চয়তা ছিল বলেও হয়তো এমন অনিশ্চয়তার রাহুগ্রাস। দিনেরও যেমন সন্ধ্যা হয়, নতুন শুরুর অপেক্ষায় নিতে হয় খানিক আঁধারে বিশ্রাম। মেসির আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও হয়তো ঘটেছে তাই। বিশ্রামের পরই হয়তো নতুন সূর্যের আলোভরা আকাশ নিয়ে মেসি পায়ের জাদুতে আঁকবেন নতুন ছবি, কাব্যসুধায় হৃদয় ভরাবেন ফুটবলের মহাকবি।
হারকে জয় করে কেমন করে বিজয়ের ধারায় ফিরতে হয়, লিওনেল মেসির চেয়ে সেটা আর কে বেশি জানে। ওই পায়ের স্রোতেই তো রোজ ফুটবল সুরধারা পুলকিত হয় নতুন গানে। তাই একটা হার দিয়েই কি মেসি কিংবা আর্জেন্টিনাকে এভাবে বিচার করা যায়? মোটেও নয়।

ফুটবলে কাননে মেসি, ম্যারাডোনা কিংবা আর্জেন্টিনা যে ফুল ফুটিয়েছেন যুগের পর যুগ, কালের পর কাল ধরে সে সৌরভ পাবেই মহাকাল। ততোদিন ম্যারাডোনা, মেসি থাকবেন; যতদিন থাকবে ফুটবল।

স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে আসর শুরুর আগেই বলেছেন, মেসি যদি বিশ্বকাপ না জিতে অবসরে যান সে হবে বড্ড অন্যায়, ভীষণ অবিচার। তার মানে মেসি ফুটবলে এমন জায়গা জুড়ে আছেন, তার প্রতিপক্ষও বিনা শর্তে মানেন, তারা জানেন; মেসির কাছে নস্যি ওই সাড়ে ৩৬ ইঞ্চি ধাতুর ট্রফি বরং ট্রফির জীবনটাই বৃথা যাবে যদি তাকে না ছোঁয় সময়ের সেরা জাদুকর।

তাই ট্রল যারা করেন, মেসিকে হেয় করতে চান কথায় কথায়- তাদের ঠুনকো একটা খেলা নয়, মোহান্ধ সময় নয়, ফুটবলটাকে বোঝা বড্ড জরুরি। মেসির হালের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছে, সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। এমন তিনি এটাও বলেছে, আমাকে বাদ দিলে মেসি সময়ের সেরা নিশ্চয়ই।

আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি হয়তো সে বিচারেই বলেছে, বিশ্বকাপ জেতাই শেষ কথা নয়। বিশ্বকাপ জয় করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই; নেই কোনো নিয়মও। আর যারা ম্যারাডোনার হাতের গোল মানে হ্যান্ড অব গড নিয়ে সমালোচনা করেন, ট্রলে মজেন, তারা একই ম্যাচের গোল অব দ্য সেঞ্চুরির কথাও জানেন নিশ্চয়ই। আট জনকে পাশ কাটিয়ে দেওয়া ম্যারাডোনার সেই গোল এখনও ইতিহাসের অন্যতম সেরা।

তাই সৌদির কাছে একটা হারেই যারা আর্জেন্টিনা কিংবা মেসির শেষ দেখছেন, তাদের জানা জরুরি- খেলা এখনও শেষ হয়ে যায়নি, আসল চ্যাম্পিয়নরা জানেন কীভাবে ফিরে আসতে হয়, ঘুরে দাঁড়াতে হয় কেমন করে। মাঠের খেলায় আর্জেন্টিনা সৌদির বিপক্ষে কিন্তু দারুণ দাপটেই ছিল, মুহূর্ত কেবল তাদের দেয়নি সমথর্ন! মনে রাখা জরুরি, নস্যি মেঘের নিচে কখনো কখনো দস্যি-শক্তিমান সূর্য্যও ঢাকা পড়ে। সুতরাং এখনও শেষ হয়নি খেলা, বেলা আরও বাকি আছে....

আরো পড়ুন:


Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget