পদ্মা সেতু উদ্বোধন: জনসভায় মানুষের স্রোত

পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিতে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে মানুষ। জনসভায় এরই মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ। আজ শনিবার (২৫শে জুন) ভোর পৌনে ৬টায় থেকেই জনসভাস্থল মানুষের পদচারণায় মুখরিত হতে শুরু করে।


জনসভায় বিভিন্ন ধরণের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রবেশ করছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। নানা স্লোগানে মুখরিত জনসভাস্থল। পদ্মার কূল ঘেঁষে আয়োজিত এই জনসভায় এরই মধ্যে লাখো মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।


পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদারীপুরের শিবচরে কাঠালবাড়িতে আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন। জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিবেন তিনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সাক্ষী হতে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের মানুষ।


খুলনার দাকোপ থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় রওনা হয়েছিলেন মোস্তফা মোল্লা। আজ শনিবার ভোরে তিনি পৌঁছেছেন মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়িতে। সেখানে আজ দুপুর ১২টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে হবে সমাবেশ। সেই সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ জড়ো হওয়ার কথা আছে। কিন্তু ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে নেমেছে মানুষের ঢল। দক্ষিণের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ আসছেন সমাবেশস্থলে। সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়ল এ দৃশ্য। নানা রঙের টি–শার্ট তাঁদের গায়ে। ঢোল-ঢাক-বাঁশি বাজিয়ে আসছেন তাঁরা। নাচতে নাচতে আসছেন, মিছিল করতে করতে আসছেন তাঁরা। অনেকের হাতে ব্যানার, ফেস্টুন।


এমন আরেকজন খুলনার পাইকগাছার বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক। গতকাল বিকেলে রওনা হয়েছিলেন বাড়ি থেকে। আজ ভোরে এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আসতে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ কষ্ট আনন্দের।’

আজ ২৫ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে ভাষণ শেষে তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। অমনি খুলে যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের জন্য সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার অনন্ত দুয়ার।


৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু। মাওয়া থেকে জাজিরা। পদ্মা সেতু সড়ক, রেল, গ্যাস, বিদ্যুতের সংযোগ ঘটাবে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের। নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে আছে সংযোগ সড়ক, রেল সংযোগ, নদীশাসন, পুনর্বাসন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা—নানা প্রকল্প ও কর্মকাণ্ড।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ জুনের সংবাদ সম্মেলনে জানান, পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২১ জুন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৭৩২ কোটি ৮ লাখ টাকা।


আরো পড়ুন: