Articles by "সড়ক-দুর্ঘটনা"

 


নভেম্বরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সংখ্যা কত ?

চলতি বছরের নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৬৩টি। এতে মোট ৫৫৪ জন নিহত ও ৭৪৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে  শিশু ৭১ ও নারী ৭৮ জন।

আজ রবিবার সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৯৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১.৯০ শতাংশ। এতে নিহত হন ২২৯ জন, যা মোট নিহতের ৪১.৩৩ শতাংশ। 
ওসব দুর্ঘটনায় ১২৩ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২২.২০ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৯ জন, অর্থাৎ ১৪.২৫ শতাংশ।

এই সময়ে ৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত, ৭ জন আহত ও ২ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র:

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২২৯ জন (৪১.৩৩%), বাস যাত্রী ২৮ জন (৫.০৫%), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রামট্রাক-মিক্সার মেশিন গাড়ি আরোহী ৩৪ জন (৬.১৩%), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার যাত্রী ৫ জন (০.৯%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯৩ জন (১৬.৭৮%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-ঘাসকাটা মেশিন গাড়ি) ৩১ জন (৫.৫৯%) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-প্যাডেল ভ্যান আরোহী ১১ জন (১.৯৮%) নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৯২টি (৪১.৪৬%) জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৮টি (৩১.৯৬%) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৪টি (১৫.৯৮%) গ্রামীণ সড়কে, ৪৩টি (৯.২৮%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬টি ১.২৯% সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন:

দুর্ঘটনাসমূহের ৮১টি (১৭.৪৯%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০৬টি (৪৪.৪৯%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২৬টি (২৭.২১%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৩৮টি (৮.২০%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১২টি (২.৫৯%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন:

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-পুলিশভ্যান ২২.৯৮%, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রাম ট্রাক-ডাম্পার ট্রাক-ট্যাঙ্ক লরি-মিক্সার মেশিন গাড়ি ৫.৮১%, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স ৩.৩০%, যাত্রীবাহী বাস ১২.৫৪%, মোটরসাইকেল ২৮.৬৬%, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ১৬.১১%, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন-(নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-টমটম-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার-ধান মাড়াইয়ের মেশিন গাড়ি-ঘাস কাটার মেশিন গাড়ি) ৭%, এবং বাই-সাইকেল-প্যাডেল রিকশা-প্যাডেল ভ্যান ৩.৫৬%।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা:


দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৭৫৭ টি। (ট্রাক ১২৫, বাস ৯৫, কাভার্ডভ্যান ১৮, পিকআপ ৩০, পুলিশভ্যান ১, ট্রলি ১৫, লরি ৬, ট্রাক্টর ৮, ড্রাম ট্রাক ৭, ডাম্পার ট্রাক ৩, ট্যাঙ্কলরি ৩, মিক্সার মেশিন গাড়ি ২, মাইক্রোবাস ১০, প্রাইভেটকার ১২, অ্যাম্বুলেন্স ৩, মোটরসাইকেল ২১৭, থ্রি-হুইলার ১২২ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৫৩ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-টমটম-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার-ধান মাড়াইয়ের মেশিন গাড়ি-ঘাস কাটার মেশিন গাড়ি) বাই-সাইকেল ৭, প্যাডেল রিকশা ১৪ এবং প্যাডেল ভ্যান ৬টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:


সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোরে ৪.১০%, সকালে ৩০.০২%, দুপুরে ১৭.৪৯%, বিকালে ১৯.৪৩%, সন্ধ্যায় ১০.১৫% এবং রাতে ১৮.৭৯%।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান:


দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ৩০.৬৬%, প্রাণহানি ৩১.৪০%, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৮.৭৯%, প্রাণহানি ১৮.৫৯%, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.৯০%, প্রাণহানি ১৪.২৫%, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.৫০%, প্রাণহানি ৯.৩৮%, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.১২%, প্রাণহানি ৬.৩১%, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪.১০%, প্রাণহানি ৩.৬১%, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮.২০%, প্রাণহানি ৯.২০% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৬৯%, প্রাণহানি ৭.২২% ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১৪২টি দুর্ঘটনায় ১৭৪ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৯টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ২৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং ময়মনসিংহ জেলায় সবচেয়ে বেশি ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জ, নড়াইল, ঝালকাঠি, লালমনিরহাট ও রাঙ্গামাটি জেলায়। এই ৫টি জেলায় ১১টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

নভেম্বরে রাজধানী ঢাকায় ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ২২ জন আহত হন। 

দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো:

১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন;
২. বেপরোয়া গতি; 
৩. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা;
৪. বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা;
৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল;
৬. তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো;
৭. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা;
৮. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা;
৯. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি;
১০ গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি। 

সুপারিশমালা:

সড়ক দুর্ঘটনারোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ১০টি সুপারিশ করেছে। তা হলো-
১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে;
২. চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে;
৩. বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে;
৪. পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে;
৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে;
৬. পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে;
৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে;
৮. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে;
৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে;
১০.“সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরো পড়ুন:


 




ট্রাক চাপায় গর্ভবতী মায়ের প্রাণ গেলেও জন্ম হল গর্ভের শিশুটির


ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে এক সড়ক দুর্ঘটনার সময় জন্ম নিয়েছে এক শিশু। শনিবার বিকেলে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান স্বামী, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তাদের এক মেয়ে। কিন্তু দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সময় অন্তঃসত্ত্বা নারী জন্ম দিয়ে গেছেন একটি কন্যা শিশুর।


যেভাবে জন্ম হল শিশুটির

শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালের কোর্ট ভবন এলাকার ঘটনা: স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ও ছয় বছর-বয়সী মেয়ের সাথে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে যাচ্ছিলেন ন'মাসের অন্তঃসত্ত্বা ত্রিশালের রায়মনি গ্রামের রত্না বেগম।অনাগত সন্তানের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে তা জানতে কাছেই একটি ক্লিনিকে আলট্রাসাউন্ড করাতে যাচ্ছিলেন তারা।


কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন পরিবারের সবাই। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হলেও এই দুর্ঘটনায় বেঁচে গেছে কয়েক মুহূর্ত আগ পর্যন্ত মাতৃগর্ভে থাকা শিশুটি।


ঘটনার পরপরই সেখানে উদ্ধারকাজে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ত্রিশাল ফায়ার স্টেশনের সাব অফিসার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন।তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছেন, "আমরা গিয়ে দেখি রাস্তায় দুটো লাশ পড়ে আছে। একজন নারী ও একজন পুরুষ। যাদের মুখ একদম বিকৃত হয়ে গেছে। ট্রাকের সামনের দিকের চাকার নিচে পড়েছেন ভদ্রলোক। গর্ভবতী নারীর শরীরের বাম দিকের এক পাশ দিয়ে ট্রাকের পেছনের চাকাটা চলে গেছে। চাকার চাপে পেট ফেটে নাড়িভুঁড়িসহ বাচ্চাটা বের হয়ে এসেছে।


"ত্রিশালে রোজই দু-একটা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে কিন্তু এরকম ভয়াবহ ঘটনা আমার চাকুরি-জীবনে দেখিনি। এটা যেন একটা অলৌকিক ঘটনা। আমরা পরে মরদেহ দুটি বডিব্যাগে ভরে পুলিশের হাতে তুলে দেই।"


উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছানোর আগেই ঘটনাস্থলের কাছে থাকা মানুষজন নবজাতক ও ছয় বছর-বয়সী কন্যা শিশুটিকে কাছেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।


সেখানে চিকিৎসকেরা ছয় বছর-বয়সী শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ এসে রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহ দুটি নিয়ে যায় থানায়।


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, "দুর্ঘটনার পর আশপাশের লোকজন যখন কাছে গেল তারা দেখতে পেল তিনটা বডি পড়ে রয়েছে। তারা একদম নতুন জন্ম নেয়া বাচ্চার কান্নাও শুনতে পাচ্ছিল। কিন্তু হট্টগোলের মধ্যে কোথা থেকে কান্নাটা আসছে সেটা বুঝতে পারেনি। পরে তারা দেখে যে মহিলার বোরখার নিচে একটা বাচ্চা। সাথে সাথে কেউ বোঝেনি যে বাচ্চাটা পেট ফেটে বের হয়েছে।"


তিনি জানিয়েছেন ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হওয়ায় এবং অনেক প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনেই দুর্ঘটনাটি ঘটার কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তিনজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মৃত জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই শরীফ উদ্দিন জানিয়েছেন শনিবার রাতেই মৃতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 


ট্রাক থ্রি-হুইলার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ৪


ট্রাক ও থ্রি-হুইলার (পাগলু) মুখোমুখি সংঘর্ষে ২জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ জন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত ১২টার সময় ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের ভূল্লী নামক  স্হানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন—সদর উপজেলার দেবিপুর ইউনিয়নের খালিশাপুরি পোস্ট অফিস এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে খলিলুর রহমান খলিল (৬১) অপরজন  সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের মো. কাদেরুল ইসলামের ছেলে পারভেজ (৩২)। 


আহতরা হলেন—পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ডাপুরাপাড়ার মৃত শাহ আলমের ছেলে আক্তার হোসেন (৩৬), একই উপজেলার সইমনপাড়া গ্রামের জাহিরুল ইসলামের ছেলে মো. সুপিয়ার রহমান (৪১), মাঝগ্রাম ফয়জুল ইসলামের ছেলে আজিজুর ইসলাম (৪৪) ও আজিজুর ইসলামের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩৮)। 


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হালিম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে একটি পাগলু আসছিল এবং ঠাকুরগাঁও থেকে একটি ট্রাক পঞ্চগড়ের দিকে যাওয়ার সময় ভুল্লীএলাকার হবিবর রহমানের মিল চাতালের সামনে ট্রাক ও পাগলুর বিপরীতমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে পাগলুতে থাকা খলিলুর রহমান  ঘটনাস্থলেই মারা যান ও পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভেজ মারা যান। 


দুর্ঘটনায় পাগলুর চার যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশ খতিয়ে দেখছেন বলেও জানান তিনি ।


আরো পড়ুন:

  1. ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনকে ভারতের অবস্থান জানালেন মোদী
  2. ইউক্রেন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সঙ্কটের মধ্যে মোদী-বাইডেন এর ভার্চুয়াল বৈঠক আজ
  3. পরশুরামে ৫শতাধিক পরিবারের মাঝে "ঢাকাস্থ'' পরশুরাম সমিতি"র ইফতার সামগ্রী বিতরণ
  4. ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য নিয়ে ২ যুবককে কুপিয়ে হত্যা এবং আহত ১
  5. ফেনীতে ভ্রাম্যমান আদলতের অভিযানে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, ২ ইউপি সদস্য সহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা
  6. ফেনীতে কোটি টাকা মুল্যের ভারতীয় শাড়ি, থান কাপড়, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গাসহ চোরাকারবারী আটক
  7. অনলাইন নিউজ পোর্টাল মুক্তির ৭১ নিউজের সম্পাদকের ৪৩তম জন্মবার্ষিকী
  8. দাগনভূঞায় প্রেমিককে জানাজায় হাজির করার অনুরোধ জানিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা
  9. সোনাগাজীতে নারীদের উত্ত্যাক্তের প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত


 


সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল চালক নিহত


ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল চালক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরো দুজন। শুক্রবার দুপুরে জেলার পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল সড়কের গোগর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


পুলিশ ও স্হানীয়রা জানায়, দুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিলক চন্দ্র রায় (২০) ও জয় (১৯) নামে দুই মোটরসাইকেল চালক মারা যান। তিলক সদর উপজেলার পশ্চিম বেগুনবাড়ি গ্রামের অতুলের ছেলে। জয় পীরগঞ্জ উপজেলার বাশগাড়া গ্রামে জগেন দাসের পুত্র। 


আহত হন সদর উপজেলা বৌরানী বাজার গ্রামের অনিতের ছেলে আশাপূর্ণ এবং নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলা সালাকান্দা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মামুন। আহতদের দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া পথে তিলক ও জয় মারা যান। আহত অপর দুজনকে দিনাজপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামুন হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতে কয়েক দিন ধরে পীরগঞ্জে অবস্থান করছিল।

রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ পীরগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মোটরসাইকেল ২টি উদ্ধার করে রাণীশংকৈল থানায় আনা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


 



ট্রাকচাপায় দশম শ্রেণীর ছাত্র নিহত, সড়ক অবরোধ বিক্ষুব্ধ জনতার !


ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় মিলন ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণীর ছাত্র নিহত হয়েছে। 

নিহত দশম শ্রেণীর ছাত্র পীরগঞ্জ পৌর শহরের জগথা মাষ্টারপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।



বৃহস্পতিবার (৯জুন) দুপুরে পীরগঞ্জ পৌর শহরের মাষ্টারের মোড় এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ দূর্ঘটনা খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল এর প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।



প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র মিলন ইসলাম বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে  মাষ্টারের মোড় এলাকায় বেপরোয়া ভাবে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে চাপা দেয়।এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অবরোধ চলছিল।



পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল সেখানে পাঠিয়েছেন বলে জানান। 

আরো পড়ুন:

  1. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  2. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  6. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  7. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  8. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  9. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  10. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় সেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন আসামি। আসামিকে দিয়ে গাড়ি চালানোয় সে কৌশলে গাড়ি খাদে ফেলে নিজে পালিয়ে যায়।

এতে দুই এসআইয়ের মৃত্যু ঘটলেও পালিয়ে যায় আসামি।
নিহতরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরীফুল ইসলাম। তারা সোনারগাঁ থানায় কর্মরত। স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

এ দুর্ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছেন। তাকে মূমুর্ষূ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং শেষে সোনারগাঁ থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী সালেহ আহম্মেদ, শরিফুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম মাইক্রোবাসে থানায় ফিরছিলেন। পথে সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

প্রত্যক্ষদর্শী টমটম চালক মোক্তার হোসেন জানায়, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দত্তপাড়া বাদশা গ্যারেজের একটু সামনে একটি প্রাইভেটকার দ্রুতগতিতে এসে পুকুরে পড়ে যায়। গাড়িটি মহাসড়ক থেকে সোনারগাঁ থানার দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি মুহূর্তের মধ্যে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর থেকে পুলিশের তিন সদস্যকে উদ্ধার করে আমার টমটমে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুর আলী বলেন, গাড়িটি পুকুরে পড়ার পর রশি বেঁধে উল্টে ইট দিয়ে গ্লাস ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।


সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত এএসআইকে আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছি।


বরিশালের মুলাদী উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। রোববার (০২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মুলাদী-মীরগঞ্জ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মুলাদী উপজেলার কাজীরচর ইউনিয়নের বড়ইয়া এলাকার মৃত খালেক হাওলাদারের ছেলে ইদ্রিস হাওলাদার (৬০), কালাই নলীর ছেলে হারুন নলী (৪৫) ও মোনসেফ নলীর ছেলে রাজিব নলী (২৩)।

রাজিবের স্বজনরা জানান, রাজিব ওমান প্রবাসী। এক মাস আগে ওমান থেকে বাড়িতে আসেন। সকালে রাজিব বিয়ে করার জন্য ঘটক ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচা হারুন নলীকে নিয়ে মেয়ে দেখতে বের হন। মেয়ে দেখে তারা বাড়ি ফিরছিলেন।


ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, ওই তিন ব্যক্তি দুপুর ১২টার দিকে মুলাদী শহর থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন রাজিব নলী। মুলাদী সদর ইউনিয়নের কাজীরহাট ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা অতিক্রমকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেলের গতি অনেক বেশি ছিল। এ কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে। নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।


নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ট্রাকচাপায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাবাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাবরিনা আক্তার মিতু (২২) উপজেলার বজরা ইউনিয়নের শীলমুদ গ্রামের ভূঁইয়াবাড়ির মোর্তুজা ভূঁইয়ার মেয়ে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সোনাইমুড়ী থানার এসআই ইব্রাহীম খলিল বলেন, দুপুরে ঢাকায় যাওয়ার জন্য মোল্লাবাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিতু। এ সময় কুমিল্লা থেকে নোয়াখালীগামী ইটবোঝাই ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোনাইমুড়ী থানা এবং হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


রাজধানীর গুলশানে মোটরসাইকেলে ধাক্কা খেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে  মো. শফিকুল ইসলাম (৩৭) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় গুলশান কোকাকোলার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে শফিকুলে। এসময় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের নিচে চাপা পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক এসআই অনিন্দ্য সরকার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় যাত্রীবাহী বাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। 

মৃত শফিকুল গুলশান নর্দা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. আব্দুস সামাদের ছেলে। আগে ডিস লাইন সংযোগের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। বেশ কিছুদিন ব্যবসা ছেড়ে বর্তমানে বেকার ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget