ইনস্টাগ্রামের ক্যামেরা চালু করে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পাওলি দাম। কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ জানিয়েছেন অনুরাগীদের কাছে। তার অভিযোগ, জনৈক ভিকি রাইয়ের বিরুদ্ধে।
তিনি নাকি এমন অপরাধ করেছেন, যা ক্ষমার যোগ্য নয়। এ অপরাধ তিনি অন্যদের সঙ্গেও করেছেন। অভিনেত্রীর সঙ্গেও। তাই তিনি অপরাধীর যেনতেন প্রকারে মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ভিকি রাই কী করেছেন পাওলির সঙ্গে? কেন বা তিনি এভাবে কান্নায় ভেঙে পড়ে সুবিচার চাইছেন?
তার আগে জানতে হবে, এই ভিকি রাই কে? জাতীয় স্তরের ওয়েব প্ল্যাটফরম একটি নতুন সিরিজ আনতে চলেছে। নাম ‘অখণ্ড’। তার প্রধান চরিত্র ভিকি রাই। সিরিজের প্রচারে প্ল্যাটফরমটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় হেঁটেছে। প্ল্যাটফরমের টুইটার থেকে মুক্তির দিন ঘোষণা হয়নি। বরং এক ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই যেন সিরিজ-মুক্তির কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
এবার একটি ছোট্ট ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে। সিরিজের নাম বা প্রচার ঝলক হিসেবে নয়। বদলে সংবাদমাধ্যম বিচারকের আসনে বসে। সেখানে রায় ঘোষিত হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে জানিয়েছে, সেই ভিকি রাইকে জেলে পাঠাতে চায়। তাদের দাবি, এ ব্যক্তি অত্যন্ত নির্লজ্জ ও হিংসাত্মক। সমাজের রীতিনীতি নিয়ে অকারণ মজা করেন। তিন বছর আগে তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছিল। তার পর জনসাধারণ ধরে নিয়েছে, তিনি অপরাধী। এ জন্য সবাই মিডিয়া ট্রায়ালকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
পাওলিও কি চলতি হাওয়ার পন্থি? তিনিও কি তাই চোখের জলে ভিজে মুখ খুলেছেন ভিকির বিরুদ্ধে?
কিছু দিন আগে পাওলি শুধু স্বচ্ছ, সাদা শার্টে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল। তার প্রায় উন্মুক্ত বক্ষ দেশ এবং বক্ষ ভাঁজ ঢেকেছিল বহুমূল্য নেকলেসে। এবার জাতীয় স্তরের সিরিজের প্রচারের সঙ্গে যেন জড়িয়ে গেলেন তিনি।
পাওলিও কি এ সিরিজের অন্যতম অভিনেত্রী? জানা যায়নি। কারণ সিরিজ নির্মাতা, ওয়েব প্ল্যাটফরম এবং অভিনেত্রী-কেউই প্রচারের স্বার্থে অভিনেতাদের নাম ঘোষণা করতে চাননি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন