জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল–২০২২–এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে আজ রোববার।
গত ২৭ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন এবং এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গেজেট অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের শূন্য পদে নিয়োগ দিতে রাষ্ট্রপতি এই আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে ৬ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন। সদস্যরা হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক, প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত ২ জন বিশিষ্ট নাগরিক, যাদের মধ্যে একজন হবেন নারী।
এই কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তারা তাদের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে।
আইন অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের জন্য যোগ্যতা হচ্ছে:
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
- বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে
- কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি, বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় অন্যূন ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আইন অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের জন্য অযোগ্যতা হচ্ছে:
- কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত হলে
- দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে
- অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব পেলে
- নৈতিক স্বলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে
- International Crimes (Tribunals Act, 1973 (Act No. XIX of 1973) বা Bangladesh Collaborators (Special) Tribunals Order, 1972 (President's Order No. 8 of 1972) এর অধীন যেকোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে
- আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত তিনি প্রজাতন্ত্রের কাজে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে।
এ আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। সেই কমিটি পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নাম প্রস্তাব করবে। কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন