Articles by "জাতীয়"

 


টুঙ্গিপাড়ায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮টি প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১০তম বারের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে টুঙ্গিপাড়া সফরের ২য় দিনে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রা ও আর্থ সামিজিক উন্নয়নে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।

টুঙ্গিপাড়ায় সফরের ২য় দিন শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নবগঠিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। 


পরে টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও একটি বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বাকি ৯টি প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগ এবং টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা।

উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হলো- মধুমতি নদীতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল বোট ল্যান্ডিং র‌্যাম্প, টুঙ্গিপাড়া লঞ্চঘাটে বাঘিয়ার নদীর পারে বোট ল্যান্ডিং র‌্যাম্প, পাটগাতি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাটগাতি শ্মশান উন্নয়ন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, কুশলী জাট জিসি-ধারাবাশাইল ভায়া মিত্রডাঙ্গা-সোনাখারী সড়কে ১৩০৪০ মিটার চেইনেজে তারাইল খালের উপর ৪৫ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ |

তারাইল জসি-টুঙ্গিপাড়া হেড কোয়ার্টার ভায়া নারায়ণখালী সড়ক ইউনি ব্লক দ্বারা উন্নয়ন চেই: ০০-৪৩৪০ মিটার, বান্ধাবাড়ী ইউপিসি- জহরেরকান্দি বাজার সড়কে ৫ মিটার চেইনেজে ৩০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ, হরিণাহাটি বাজার- রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে ১০ মিটার চেইনেজে ৬০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ, পিঞ্জুরী-সোনাখালি ভায়া চেয়ারম্যান বাজার সড়কে ১০,১০০ মিটার চেইনেজে ৪২ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ, পিঞ্জুরী- সোনাখালি ভায়া চেয়ারম্যান বাজার সড়কে ৮৫৫০ মিটার চেইনেজে ২৪ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ, কলাবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড-রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়-কালিগঞ্জ বাজার সড়কে ৫০০ মিটার চেইনেজে ৪৫ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ, মাঝবাড়ী আরএইডি- রাধাগঞ্জ বাজার সড়কে ২১০০ মিটার চেইনেজে ২৪ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ, কোটালীপাড়া পারকোনা শ্রী শ্রী গনেশ পাগল মন্দির, মাঝবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ত্রিপলী শেখ আবু নাসের উচ্চ বিদ্যালয় টুঙ্গিপাড়ার একাডেমিক ভবন উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ, রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় কোটালীপাড়া ৪ তলা একাডেমিক ভবন, টুঙ্গিপাড়া পৌর বাস টার্মিনাল, জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, ৬তলা বিশিষ্ট পৌর সুপার মার্কেট, কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা হতে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, মেরামত এবং নবরুপায়ন, শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, পূর্ব উত্তর কোটালীপাড়া দারুছুন্নাহ সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার চার তলা একাডেমিক ভবন, স্বাধীনতা সদর ডাক বাংলো, পাটগাতী জিসি হতে বাঁশবাড়িয়া জিসি সড়কের ৫০১৪ মিটার চেইনেজে ২২৫ মিটার পিসি গার্ডার ব্রীজ, বাশঁবাড়িয়া ঝনঝনিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা মসজিদ কমপ্লেক্স, টুপুরিয়া আরএন্ডএইচ-ধোরার জিপিএস সড়কে ৪৫ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ, মাঝবাড়ী আরএন্ডএইচ-রাধাগঞ্জ বাজার সড়কে ৬৭০০ চেইনেজে ৯০ মিটার পিএসসি গার্ডার ব্রীজ।

এদিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যার আগমন ও বৃহৎ প্রকল্প উদ্বোধন গোপালগঞ্জে সাধারণ জনগণ আনন্দ উচ্ছ্বসিত। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নবগঠিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের টুঙ্গিপাড়ায় আগমন ও অবস্থানকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টুঙ্গিপাড়াসহ পুরো জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।


আরো পড়ুন:


 


ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে রাজমনি হোটেল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-৩

(শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল হক।
দুপুর ১২ ঘটিকায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির। উপজেলা কৃষক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন'র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মোঃ লতিফুর রহমান মনা এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান লেবু। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এসএমএ আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়, আওয়ামীলীগ নেতা মোহসিনুল বারী রুমি।

সম্মেলনে আওয়ামীলীগ নেতা দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য, আলহাজ্ব মোঃ বেলায়েত হোসেন, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হায়দার আলী রেজা, মোঃ নমশের আলম, মোঃ আব্দুর রহমান চান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহীদুল ইসলাম স্বপন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা রুপালি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ'লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মন্টু, আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মোঃ তমির উদ্দিন সহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তাগন বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর  সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা বিএনপি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির মদদে আবারো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশের মানুষকে একটি উন্নত জীবনের পথে নেতৃত্ব দিতে আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করার কোন বিকল্প নেই। 

তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তারা।
জেলা উপজেলা থেকে আগত  নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মোঃ জয়নাল আবেদীনকে সভাপতি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে সাধারণ সম্পাদক ও মোঃ লতিফুর রহমান মনাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে আগামী তিন বছরের জন্য উপজেলা কৃষক লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। 

বার্তাপ্রেরকঃ এম শাহজাহান ঝিনাইগাতী শেরপুর। 


 


ঝিনাইগাতীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত।

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয়  দিবস পালিত হয়েছে। ১৬ডিসেম্বর শুক্রবার উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউ এনও ফারুক আল মাসুদের সভাপতিত্বে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন  উপজেলা চেয়ারম্যান  আলহাজ এসএমএ আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)  মনিরুল আলম ভূইয়া।
 


দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভোর সাড়ে ৬টায় ৩১বার স্তুপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, আনসার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদশর্ন, প্রীতি ফুটবল, রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চিত্রাংকনসহ বিভিন্ন আয়োজন। 

বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউ এনও ফারুক আল মাসুদের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা  অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন  উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি 



মনিরুল আলম ভূইয়া,  সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সামছুল আলম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম প্রমুখ। এসময় সহকারী কমিশনার(ভুমি) আশরাফুল কবির, কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানসহ


 সরকারি,বে-সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা/ কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীলসমাজ, ছাত্র-জনতা ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। ১শ ৪৪জন বীর মুক্তিযুদ্ধাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সন্ধায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন বলে জানা গেছে। 

বার্তাপ্রেরকঃ এম শাহজাহান ঝিনাইগাতী শেরপুর।


 


কুষ্টিয়ায় কাভার্ডভ্যান-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কাভার্ডভ্যানের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক নারীসহ আরও দু’জন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভেড়ামারা-আল্লারদরগা সড়কের বাকাপোল নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ গ্রামের মৃত লাল বাবুর ছেলে খন্দকার রুহুল আমিন (৬০) এবং একই এলাকার তুষ্টখার ছেলে মজনু আলী (৫৫)। এ ঘটনায় মজনুর স্ত্রী হাবিবা খাতুন (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনিসহ দু’জন যাত্রীকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী মারা যান। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা সম্ভব হলেও তার চালক পালিয়ে গেছে।

আরো পড়ুন:


 


এসএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় এসএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন। এর মধ্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ–৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩।


চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এসএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন। এর মধ্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ–৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩।


এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট,সেগুনবাগিচা, ঢাকা

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট,সেগুনবাগিচা, ঢাকাছবি: প্রথম আলো

তবে দুপুর ১২টার পর থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়।

এর আগে আজ সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করা হয়।

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরই শিক্ষকদের সঙ্গে হলিক্রস স্কুলে শিক্ষার্থীরা

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।


আরো পড়ুন:

  1. আই ফোন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত কোনো 
  2. প্রসেসর কি 
  3. বাংলাদেশে dslr ক্যামেরার দাম 
  4. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কি ?
  5. বিশ্বের সেরা 11টি জনপ্রিয় অনলাইন মোবাইল গেম
  6. নতুন গেমিং ল্যাপটপ 2022
  7. নতুন গেমিং পিসি 2022 |


 



বালিয়াডাঙ্গীর ভ্যানচালক বাবার স্বপ্ন পূরণে উচ্চশিক্ষা চীনে দুই ভাই !


সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার ইচ্ছা ও সন্তানদের স্বপ্ন পূরণে প্রবল আক্ষেপে শেষ সম্বল ১বিঘা (৩৩ শতক) জমি বিক্রি করে দুই ছেলেকে একসাথে চীনে পাঠান ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে। দীর্ঘদিন থেকে তিনবেলা খেয়ে না খেয়ে ভ্যান চালিয়ে সন্তানদের খরচ যোগান দিচ্ছেন ভ্যান চালক মকিম উদ্দীন। 


ভ্যানচালক মকিমউদ্দীন শিক্ষিত না হলেও সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভে সুদূূর চীনে পাঠিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মকিমউদ্দীন।


বড় ছেলে হবিবুর রহমান চীনের জিয়াংসু ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচার অটোমেশন বিভাগ ও  ছোট ছেলে আবুল হাসিম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন।


ভ্যানচালক হলেও মকিমউcদ্দীনেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞা যেন এখন বাস্তবতার মুখ দেখছে। নিজে কঠোর পরিশ্রমে ভ্যান চালিয়ে দুই ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন সুদূর চীন দেশে। বর্তমানে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানের আয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের ভরণপোষণ করছেন তিনি।


মকিমউদ্দীনের পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন কয়েক বছর আগে। কষ্টের সংসারে সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় সমাজে এক আলাদা সম্মানের জায়গা তৈরি হয়েছে মকিমউদ্দীনের।


স্থানীয়রা বলেন, বাবা কতটা কষ্টের উপার্জনে ছেলেদের পড়াশোনা করাচ্ছেন, তা বলার মতো নয়। আমাদেরও সন্তান আছে। সবাই এমন হয় না। তবে তারা আমাদের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। কষ্ট ও পরিশ্রম করে সব কাজ করা যায়, তারই দৃষ্টান্ত প্রতিবেশী মকিমউদ্দীনের দুই ছেলে। তারা দিন আনে দিন খায়।


 তারা অনেক কষ্ট করে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক অভাবেও তারা সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ রাখেননি। বিষয়টি আসলে অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো। আমরা আশা করছি, তারা দক্ষ প্রকৌশলী হয়ে এলাকা ও দেশসেবায় নিয়োজিত থাকবেন।

মকিমউদ্দীনের স্ত্রী হুসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে।

মেয়ে দুটোকে অনেক কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছি। পৈতৃক এক বিঘা আবাদি জমি ছিল। ছেলে দুটোর জন্য তা বিক্রি করতে হয়েছে। একমাত্র ভ্যানটি আমাদের স  ম্বল। বাবুর বাবার বয়স হয়েছে, তবুও প্রতিদিন ভ্যান নিয়ে বের হন। কোনোদিন তিনি বসে থাকেন না। আজ ছেলেরা  চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করছে। প্রতি মাসে টাকা দিতে হয়। ছেলে দুটাও অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে সেখানে। আমাদের যত কষ্টই হোক, আমরা তাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাতে চাই।’

 

আর বাবা মকিমউদ্দীন বলেন, ‘আমি ২৮ বছর ধরে পা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে আসছি। পরে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান কিনেছি। চালাচ্ছি পাঁচ বছর ধরে। অভাবের কারণে পড়াশোনা করতে পারিনি। তবে আমার ইচ্ছা ছিল আমার সন্তানদের পড়াশোনা করাব। আমার একমাত্র আয়ের পথ ভ্যান। যা হয় তার সবটুকু জমা করে ছেলেদের পাঠাই। আমরা স্বামী-স্ত্রী কখনো খাই, কখনো না খেয়ে থাকি। কাউকে বলা হয় না এ কষ্টের কথা। এভাবেই দিন কাটে।'

 

 মকিমউদ্দীনের বড় ছেলে হবিবুর রহমান চীনে থাকলেও কথা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে ২০১৯ সালে ডিপ্লোমা করতে আসি। এখানে পড়াশোনা করতে আসার আগে বাবা তার শেষ সম্বল ৩৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন। আমার বাবা মাঝে মাঝেই ফোনে বলে, বাবা, আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। তোমাদের মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। আমি আমার বাবাকে সান্ত্বনা দিই, বাবা,  চিন্তা করবেন না। আপনার স্বপ্ন পূরণে ভালোভাবে পড়াশোনা করি। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই আপনি একটা সুসংবাদ পাবেন। আমরা আমাদের মেধা দেশের জন্য কাজে লাগাতে চাই।’

 

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম বলেন, ভ্যান চালিয়ে ছেলেদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন মকিমউদ্দীন, যা দৃষ্টান্ত। উপজেলা প্রশাসন পরিবারের পাশে আছে। তাদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে তাদের সকল সুবিধা দেয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি


বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, বিষয়টি আসলেই অনুপ্রাণিত হওয়ার মত । ভ্যান চালিয়ে তিনি দুই ছেলেকে চীনে পড়াশোনা করান। এখান থেকে বুঝা যায় যদি মানুষের ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকে তবে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। এটি আমাদের জন্য আনন্দায়ক বিষয়ক। যদি কখনো তার প্রয়োজন হয় সহযোগিতার তবে উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাড়াবে। 


আরো পড়ুন:









বাংলাদেশে সবকিছুর দাম এখন আগুন ।
চলুন চালের দাম জেনে আসি । 


সরকারি গুদামে নিরাপত্তা মজুত হিসাবে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য থাকলেই চলে। এখন খাদ্যের মজুত ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। শুধু চালের মজুতই ১৭ লাখ টন। অথচ বাজারে চালের দাম বেড়েই চলেছে। মন্ত্রী, চাল ব্যবসায়ী কারও কাছেই এর ব্যাখ্যা নেই।

সরকারি গুদামগুলোতে খাদ্যশস্যের মজুত ২০ লাখ টনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনোই সরকারিভাবে এত খাদ্যশস্য মজুত ছিল না, কিন্তু বিস্ময়কর হলো তারপরও চালের দাম কমছে না; উল্টো বাড়ছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে বুধবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর সরু চাল (মিনিকেট-নাজিরশাইল) বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে। এক বছরে বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।




খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, বুধবার দেশে মোট খাদ্যশস্য মজুতের পরিমাণ ছিল ২০ লাখ ২ হাজার টন। এর মধ্যে চালের মজুত হচ্ছে ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টন। গম ২ লাখ ৭৭ হাজার; আর ধান ৪৯ হাজার টন।

অতীতের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, সরকারিভাবে চালের এত মজুত আগে কখনই ছিল না। গত বছর এই সময়ে সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুতের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ২১ হাজার টন। এর মধ্যে চালের মজুত ছিল ৫ লাখ ৩৭ হাজার টন, যা মজুত হিসেবে ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে কম।

‘বর্তমান মজুত সন্তোষজনক’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আমন ধান, চাল ও গম সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং বিদেশ থেকে চাল আমদানির কারণে খাদ্যশস্যের মজুতে রেকর্ড হয়েছে।




আমনের ভালো ফলন আর সবশেষ বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের রেকর্ড হলেও বুধবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরোনো চালের দাম কেজিতে অন্তত দুই টাকা করে বেড়েছে।

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি মুদি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা; যা এক মাস আগেও ছিল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা।





Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget