বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম একলাফে ৫১ শতাংশের বেশি বাড়ানো নিয়ে সমালোচনার জবাবে সরকার বলেছে, পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য একবারে তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।


জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিবিসিকে বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হলে দ্রব্যমূল্যসহ মানুষের জীবনযাত্রার সবক্ষেত্রে তার প্রভাব বেশি পড়তো বলে তারা মনে করেন।


তবে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো বলছে, এক ধাপে বড় অঙ্কের দাম বৃদ্ধির কারণেই পরিস্থিতি বেশি অসহনীয় হয়েছে।


গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের ভিন্নমত

তেলের দাম এক লাফে বড় অঙ্কের বৃদ্ধির প্রভাবে পরিবহন ভাড়া বাড়াতে হয়েছে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ মানুষের জীবন যাত্রার সবক্ষেত্রেই খরচ বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতি ক্ষুব্ধ করেছে সাধারণ মানুষকে।

কিন্তু সরকারের পক্ষে যুক্তি হচ্ছে, যদি ধাপে ধাপে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হতো, তাহলে প্রতিবার খাদ্যদ্রব্যসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হতো এবং পরিস্থিতি সহনীয় মাত্রায় রাখা সম্ভব হতো না।সরকারের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে শিল্পপতি বা ব্যবসায়ীদের অনেকের।


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম

ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআই এর পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ বলেছেন, ধাপে ধাপে বা পর্যায়ক্রমে তেলের দাম বাড়ানো হলে শিল্পপতি ব্যবসায়ী এমনকি সাধারণ মানুষের একটা প্রস্তুতি থাকতো এবং তখন পরিস্থিতি সবার জন্য সহনীয় হতো।


বিশ্লেষকরা পরিস্থিতিকেa ব্যাখ্যা করছেন ভিন্নভাবে। তারা বলেন, বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম অনেক বেশি ছিল, তখনও দাম না বাড়িয়ে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে।


এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে এসেছে বা অর্থে টান পড়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের জন্য অর্থ প্রয়োজন।


আরো পড়ুন: