আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেও ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের দুটি লকারের পাসওয়ার্ড পরিচালনা বোর্ডকে সরবরাহ করেনি কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভাঙা হয়। এরপর সেখানে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের চেক পাওয়া গেছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
পরে দুপুর ৩টার দিকে ইভ্যালির কার্যালয় থেকে লকারগুলো বের করা হয়। লকার ভাঙার জন্য ধানমন্ডিতে ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত আছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।
লকারটি ভাঙার আগে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গত ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে ধানমন্ডি কার্যালয়ে লকারগুলোর কম্বিনেশন নম্বর (পাসওয়ার্ড) দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশিত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতিনিধিকে তাড়াতাড়ি তাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতেও আইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেন।
প্রথম লকার ভাঙতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট। পরে লকারের ভেতর পাওয়া যায় সিটি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংকের বেশ কয়েকটি ব্লাংক চেক, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাচ্চাদের পড়ার বই। লকারে কোনো ধরনের অর্থ পায়নি বোর্ড।
তার আগে ইভ্যালির লকারে কী আছে সেটি জানতে পাসকোড চাওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেলের কাছে। বোর্ডের কাছে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। পরে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেন লকার ভাঙার।
প্রসঙ্গত, অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করার দায়ে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন