লাখ লাখ ভক্তের মন ভেঙে বিয়ের ১৮ বছর পর বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন তামিল সুপারস্টার ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। ২০০৪ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা কাস্থুরি রাজার পুত্র ধানুশ এবং মেগাস্টার রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়। এরপর প্রায় ২ দশক পরে তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত দু'জনই দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবার থেকে এসেছেন। ধানুশ অভিনয় দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু করছিলেন। তার কাধল কোনদেইন সিনেমা মুক্তির পর ঐশ্বরিয়া তার সঙ্গে দেখা করেন। জানা যায়, ঐশ্বরিয়া তখন ধানুশের অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন এবং এমনকি তাকে একটি ফুলের তোড়া পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সুতরাং বলা যায়, তাদের পরিচয় পর্ব চমৎকার ছিল।
এরপর তারা প্রায় দেখা করতেন, ঘুরতে যেতেন কিংবা একসঙ্গে আড্ডা দিতেন। এ নিয়ে তাদের প্রেমের গুঞ্জন শুরুও হয়। কিন্তু, ধানুশ তখন সেই গুঞ্জন অস্বীকার করে বলেছিলেন, ঐশ্বরিয়া শুধু তার বোনের বান্ধবী। পরে দুই পরিবারের ইচ্ছাতেই তাদের বিয়ের আলোচনা শুরু হয় এবং ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর ছয় মাসের প্রেম শেষে ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন ধানুশের বয়স ছিল ২১ এবং ঐশ্বরিয়ার ২৩ বছর। তবে, দুই বছরের বয়সের ব্যবধান কখনোই এই জুটির জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি।
বিয়ের ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ধানুশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছিলেন ঐশ্বরিয়া। তিনি বলেছিলেন, আমাদের সম্পর্কের সর্বোত্তম জিনিসটি হলো- আমরা একে অপরকে প্রচুর ছাড় দিই। আমরা কেউ অন্যের পরিবর্তনে বিশ্বাস করি না। কারণ আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। কারো বয়স ২০-এর দশকের মাঝামাঝি হয় তখন যে কারো মন একটি নির্দিষ্ট কিছুতে স্থির হয়ে যায়। যেখান থেকে নিজেকে পরিবর্তন করা খুব কঠিন।
যাই হোক ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়ার প্রেমের গল্প অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে ছিল। কিন্তু, ১৮ বছর পরে এসে দু'জনে বুঝতে পেরেছেন এখন তাদের পৃথক হওয়ার সময় এসেছে। 'মারি' অভিনেতা ধানুশ টুইটারে ঘোষণা দিয়েছেন- বন্ধু, দম্পতি, পিতা-মাতা এবং একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে ১৮ বছর একসঙ্গে থাকা। কিন্তু, আজ আমরা এমন একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমাদের পথ আলাদা... ঐশ্বরিয়া এবং আমি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও লিখেছেন, দয়া করে আমাদের সিদ্ধান্ত ও বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রয়োজনীয় গোপনীয়তাকে সম্মান করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন