বাংলাদেশে সবকিছুর দাম এখন আগুন ।
চলুন চালের দাম জেনে আসি । 


সরকারি গুদামে নিরাপত্তা মজুত হিসাবে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য থাকলেই চলে। এখন খাদ্যের মজুত ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। শুধু চালের মজুতই ১৭ লাখ টন। অথচ বাজারে চালের দাম বেড়েই চলেছে। মন্ত্রী, চাল ব্যবসায়ী কারও কাছেই এর ব্যাখ্যা নেই।

সরকারি গুদামগুলোতে খাদ্যশস্যের মজুত ২০ লাখ টনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনোই সরকারিভাবে এত খাদ্যশস্য মজুত ছিল না, কিন্তু বিস্ময়কর হলো তারপরও চালের দাম কমছে না; উল্টো বাড়ছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে বুধবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর সরু চাল (মিনিকেট-নাজিরশাইল) বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে। এক বছরে বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।




খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, বুধবার দেশে মোট খাদ্যশস্য মজুতের পরিমাণ ছিল ২০ লাখ ২ হাজার টন। এর মধ্যে চালের মজুত হচ্ছে ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টন। গম ২ লাখ ৭৭ হাজার; আর ধান ৪৯ হাজার টন।

অতীতের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, সরকারিভাবে চালের এত মজুত আগে কখনই ছিল না। গত বছর এই সময়ে সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুতের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ২১ হাজার টন। এর মধ্যে চালের মজুত ছিল ৫ লাখ ৩৭ হাজার টন, যা মজুত হিসেবে ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে কম।

‘বর্তমান মজুত সন্তোষজনক’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আমন ধান, চাল ও গম সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং বিদেশ থেকে চাল আমদানির কারণে খাদ্যশস্যের মজুতে রেকর্ড হয়েছে।




আমনের ভালো ফলন আর সবশেষ বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের রেকর্ড হলেও বুধবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরোনো চালের দাম কেজিতে অন্তত দুই টাকা করে বেড়েছে।

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি মুদি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা; যা এক মাস আগেও ছিল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা।