এর আগে নিজেদের ৪র্থ ম্যাচে টসে হেরে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০০ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ঢাকা। এই রান করতেও ঢাকাকে হারাতে হয় ৯ উইকেট।
এদিন ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মোহাম্মদ শাহাজাদ ৭ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সোহাগ গাজীর বলে স্টাম্পিং হয়ে। তামিম ইকবালকে ৩ রানে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন।
দুই ওপেনারের বিদায়র পর নাঈম শেখ যেন টেস্ট খেলতে নামেন। তার ৩০ বলে ১৫ রানের ইনিংস অনেকটা ব্যাক ফুটে ফেলে দেয় ঢাকাকে। সঙ্গে জহুরুল ইসলামের ৪ রানে ফেরায় বড় বিপাকে পড়ে।
মাহমুদউল্লাহ দেখে শুনে ব্যাট চালালেও ২৬ রানে খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস। দলের অন্যতম খেলোয়াড় আন্দ্রে রাসেলকে রানের খাতা খুলতে দেননি নাজমুল ইসলাম। এমন অবস্থায় শুভাগত হোমের ২১ রানের পর রুবেল হোসেনের ৬ বলে ১২ রানে কোনওমতে ১০০ ছুঁতে পারে ঢাকা।
জয়ের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানে লেন্ডল সিমন্সকে হারিয়ে ফেলে সিলেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সিমন্সকে সাজ ঘরে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিদায় নেওয়ার আগে ২১ বলের মোকাবেলায় ১৬ রান করেন সিমন্স।
এর পর ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ মিঠুন। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় ১৫ বলে ১৭ রান করে আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন। ক্রিজে আসেন কলিন ইনগ্রাম। তাকে নিয়ে প্রায় জয়ের শেষ প্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজয়।
তবে জয়ের জন্য দলের যখন ২ রান প্রয়োজন, তখন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন এনামুল হক বিজয়। তার উইকেটিও শিকার করেন মাশরাফি।
তার আগে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ বলে করেন ৪৫ রান। শেষপর্যন্ত ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট। একটি করে চার-ছক্কা হাঁকানো ইনগ্রাম ১৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১ রানে অপরাজিত থাকেন রবি বোপারা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন