বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ পেতে ভোগান্তি অনেক 


বিদেশ থেকে দেশে ফিরেও প্রবাসীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। শুধু লাগেজ নিয়ে বের হতেই সময় লাগছে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা।

লাগেজ বেল্ট থেকে লাগেজ এলোমেলোভাবে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেল্টের কর্মীদেরও ব্যবহার ভালো নয় বলে অভিযোগ অনেকের।  

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিন দুপুর দুটার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন মো. হুমায়ুন। বিমানবন্দরের টার্মিনালে-১ এ (ক্যানপি-১) তিনি স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যাবেন কুমিল্লা। হুমায়ুন বাংলানিউজকে বলেন, চার মাস আগে গিয়েছিলাম সৌদি আরব। অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে এসেছি। 

প্লেন থেকে নেমেছি দুপুর দুইটায়। কাস্টমস হয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে আমার সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের কথা কী বলবো? বাঙালি আসলে খুব খারাপ। এই দেশের কেউ পদ পেলে মানুষকে আর মানুষ মনে করে না। 


বিদেশ থেকে ফেরার সময় দেশে প্রিয়জনের জন্য লাগেজ ভর্তি নানা ধরনের মালামাল নিয়ে আসেন প্রবাসীরা।  


অথচ লাগেজ পাওয়ার ভোগান্তির কারণে দীর্ঘদিন পর দেশে আসার আনন্দ অনেক সময় ম্লান হয়ে যায়। প্লেন থেকে নামার কয়েক ঘণ্টা পরও মেলে না লাগেজ। মাঝে মধ্যে মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে অনেক সময় অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাননি ভুক্তভোগী যাত্রীরা।  

 

সম্প্রতি লাগেজ পাওয়ার বিষয়ে তদারকি বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন লাগেজ পেতে বোর্ডিং পাসের সঙ্গে যুক্ত টোকেনও লাগবে। টোকেন ছাড়া কেউ লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে যেতে পারেন না।  


নাম প্রকাশে একাধিক কর্মী জানান, টোকেন দেখে লাগেজ দেয়ার নিয়ম থাকলেও আগে সেভাবে এটি মানা হতো না। তবে এখন যাত্রীদের হয়রানি লাঘবে বেশ কঠোর ওই নিয়ম মানা হয়।  

 

সরেজমিনে দেখা যায়, উড়োজাহাজ থেকে টু-ট্র্যাক্টর (লাগেজ সরবরাহ যান) থেকে লাগেজ কনভেয়ার বেল্টে ফেলা হচ্ছে। এখান থেকে যাত্রীরা নিজের লাগেজ শনাক্ত করছেন। এরপর তা বোর্ডিংপাসে থাকা টোকেন দেখে নিশ্চিত হওয়ার পরই লাগেজের ছাড় দেয়া হচ্ছে।  

-

যাত্রীর বোর্ডিংপাসের সঙ্গে থাকা টোকেন না মিললে আটকে দেয়া হচ্ছে লাগেজ।  

 


সম্প্রতি আমেরিকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরেছেন শরিফুল ইসলাম সুমন নামে একযাত্রী। তিনি নিজেও টোকেন দেখে নিজের লাগেজ সংগ্রহ করেছেন।  


এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উদ্যোগটা ভালো। এটা না করলে কে কখন কার লাগেজ নিয়ে যায় তার কোনো ঠিক থাকে না। তবে এখনও অনেক সময় লাগেজের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সিস্টেমটা আরো দ্রুত করা দরকার।  


‘বিমানবন্দরের দুর্বল গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কারণে লাগেজ পেতে দেরি হয়। অনেক সময় লাগেজ কেটে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল বের করে নেয়া হয়। এসবের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত ধরে জেলে ভরা উচিৎ,’ যোগ করেন এই যাত্রী।

 


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে টোকেন দেখে লাগেজ দেয়ার কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তারপরও যাত্রীদের ভোগান্তি থেমে নেই। বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাত্র ৮টি কনভেয়ার বেল্ট রয়েছে।  

এসব কনভেয়ার বেল্টে সমস্ত লাগেজ খালাস হচ্ছে না। ফলে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন।


সংশ্লিষ্টরা বলেন, বর্তমান চাহিদা অনুসারে বিমানবন্দরে দৈনিক ২০ থেকে ২৫টি টু-ট্র্যাক্টর প্রয়োজন, সেখানে আছে নামে মাত্র ক’টি। আর এগুলো দিয়েই কোনো মতে কাজ চালানো হচ্ছে।  

ভুক্তভোগীরা বলেন, বিমানবন্দরে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপগামী যাত্রীদের। এসব দেশ থেকে সরাসরি ঢাকার ফ্লাইট নেই বললেই চলে।  


আরো পড়ুন:

  1. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী
  2. সাকিব: দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলা সম্ভব নয়
  3. জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
  4. ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
  5. ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
  6. বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
  7. Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
  8. পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
  9. Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
  10. সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
  11. নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
  12. ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী