Articles by "বন্যা"

 


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে জমিসহ ঘর পেলেন ১৫ ভূমিহীন পরিবার 


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১৫ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার পেলেন জমির দলিল ও ঘরের চাবি। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে উপকার ভোগিদের মাঝে জমির দলিল ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। 


এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ হল রুম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ এর  সভাপতিত্বে  অন্যান্যদের মধ্যে  উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভুইয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার,


প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তি যোদ্ধা শামছুল আলম, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের  অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,  বিভিন্ন দপ্তরের  কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,  সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের শেষ দিকে অতিথিগণ ১৫ পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য যে, ঝিনাইগাতী উপজেলা ১ম ধাপে ৬৫টি, ২য় ধাপে ২৫টি, ৩য় ধাপের ১ম স্তরে ১৫টি


গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর প্রদান  করা হয়। ৩য় ধাপের ২য় স্তরে বৃহস্পতিবার ১৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে এ ঘর প্রদান করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার ৭ ইউনিয়ন থেকে বহু সংখ্যক আবেদনের মধ্যে থেকে ১ শত ২১ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত সাপেক্ষে ৯৬টি পরিবারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন হিসেবে চুড়ান্ত করা হয়। 


এদের মধ্যে পশ্চিশ বাকাকুড়ায় ১১ টি এবং নলকুড়ায় ৪ টি সহ ১৫ টি পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের দান্যারপাড় ও গৌরীপুর ইউনিয়নের গজারীকুড়া এলাকায় সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ৫৫ টি পবিরারকে পূর্ণবাসিত করা হচ্ছে। বাকি ২৬ টি পরিবারকেও পরবর্তী পর্যায়ে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরো পড়ুন:


পদ্মা সেতু উদ্বোধনের টাকা ক্ষতিগ্রস্থদেরকে দিন : মোমিন মেহেদী

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বিচক্ষণ নেত্রী, দয়া করে আড়ম্বরপূর্ণ উৎসব না করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের টাকা ক্ষতিগ্রস্থদেরকে দিন; সাধারণভাবে উৎসব আর অসাধারণভাবে বন্যাক্রান্তদেরকে সহায়তা করলেই ইতিহাসে স্মরণিয় হয়ে থাকবেন আপনি, বলেছেন নতুনধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেল ৪টায় পুরানা পল্টন মোড়ে ‘বন্যাক্রান্তদের পাশে দাঁড়ান’ শীর্ষক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, বন্যাক্রান্ত ১৪টি জেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ সহায়তার আশায় পথ চেয়ে আছে, তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে যদি কোটি কোটি টাকা খরচ করে আড়ম্বরপূর্ণ উৎসব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার করে, তাহলে বুঝে নিতে হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের রাজনীতি তারা করছে না। তাদের রাজনীতি দুর্নীতির রাজনীতি, তাদের রাজনীতি কেবল লোভ মোহের রাজনীতি।

অতীতের সকল সরকারের মতো করে এই সরকারও যদি দুর্নীতি করে আবার সেই দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গায় তাহলে বুঝে নিতে হবে বাংলাদেশের রাজনীতি-অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়া করে হলেও মন্ত্রী-এমপি-জনপ্রতিনিধিরা তাদের আখের গোছানোর রাস্তাতেই হাঁটছে। যা শুধুমাত্র রাজনীতি পরিপন্থিই না; ধর্ম-মানবতা-সমাজ-সভ্যতারও পরিপন্থি।

তিনি আরো বলেন, এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নতুনধারার রাজনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। বাংলাদেশের রিমোট এরিয়া থেকে শুরু করে সকল স্তরে রাজনৈতিক ঐক্যবদ্ধতায় অগ্রসর হতে হবে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির রাজনীতিকদের।

এসময় প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষকবন্ধু আবদুল মান্নান আজাদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, সদস্য শেখ লিজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:


 


সিলেট, সুনামগঞ্জে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ, 

বাংলাদেশের উত্তর পূর্বে সিলেট সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।এই দুই জেলায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসনের হিসাবে বলা হচ্ছে।বন্যার পানিতে তলিয়ে সুনামগঞ্জ শহর পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে সিলেট এবং সুনামগঞ্জের আটটি উপজেলায় সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।


দেশটির আরও কয়েকটি জলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সারা দেশে ১৯শে জুন থেকে শুরু হওয়া স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।ঘরবাড়ি পানির নিচে। চারপাশে অথৈই পানিতে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ারও উপায় নেই বলছেন স্থানীয় মানুষজন।সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার একটি ইউনিয়নের সাবেক একজন চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন বন্যার পানির কারণে পরিবারসহ তার বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, পানি নেই এমন এক ইঞ্চি জায়গা এখন মিলবে না সুনামগঞ্জ জেলায়।

"আমাদের এলাকায় প্রতিটা ঘরবাড়ি পানির নিচে। কোন কোন ঘরবাড়ির চালের ওপর দিয়ে পানি যাচ্ছে।"মানুষের একটু আশ্রয় নেয়ার জায়গাও নাই। মানুষকে দ্রুত উদ্ধার করা না হলে লাশের মিছিল দেখা যাবে," মন্তব্য মুরাদ হোসেনের।তিনি পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, গবাদিপশু, হাঁস মুরগি সব পানিতে ভেসে যাচ্ছে।সুনামগঞ্জে দু'টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্কও কাজ করছে না।


অন্যদিকে সুনামগঞ্জ শহর পানিতে ডুবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো দেশ থেকে।

সেখানকার জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের বিষয়কে এখন তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।তিনি আরও জানিয়েছেন, "ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ১২ ঘন্টাতেই সুনামগঞ্জে চার ফুট পানি বেড়ে যায়।"জেলা শহরের সব রাস্তায় পানি। কোথাও বুক সমান পানি এবং কোথাও তার চেয়েও বেশি পানি। সুনামগঞ্জের সাথে যোগাযোগের হাইওয়েগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে," বলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন।


বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেছেন, উদ্ধার করে আনা মানুষের জন্য তার কার্যালয় সহ সরকারি সব অফিস এবং বেসরকারি অনেক ভবনে দোতলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।সিলেটেও বন্যার পানি হু হু করে বাড়ছেজেলা শহরটিতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে পানি চলে আসায় ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।

সিলেট শহর থেকে একজন সমাজকর্মী শাহ শাহেদা বেলা বলেছেন, আকস্মিক বন্যা এবং তার ভয়াবহতায় তাদের জীবনযাত্রা থমকে গেছে।সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে পাঁচ সন্তান এবং দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে বন্যার পানিতে আটকে পড়েছেন সালমা বেগম।


কয়েকদিন ধরে খাবার না থাকলেও তিনি এখন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারবেন কিনা-সেটাই তার কাছে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, "বর্তমানে পানির মধ্যে ভাসতেছি। একেবারে ঘরের চাল পর্যন্ত পানি। এখান থেকে বাঁচতে চাই।"কোম্পানিগঞ্জ থেকে একজন সাংবাদিক মোহাম্মদ কবির জানিয়েছেন, বন্যায় যত মানুষ আটকা পড়েছে, তাদের উদ্ধারে পর্যাপ্ত নৌকা নেই। 

সেজন্য বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না।"রাস্তাঘাট সব জায়গায় এতটাই পানি যে নৌকা ছাড়া অন্য কোন উপায়ে চলাচল করা সম্ভব নয়। ফলে নিরাপদ জায়গায় যেতে না পেরে অনেক মানুষ ঘরের চালের ওপরও আশ্রয় নিয়েছে," বলেন মোহাম্মদ কবির।সুনামগঞ্জের পাঁচটি এবং সিলেটের তিনটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ছয়শো সদস্য মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন।


আরো পড়ুন:

Afran Nisho: ভারতীয় ওয়েব সিরিজে আফরান নিশো
জয়নাল হত্যা মামলার সব আসামি খালাস; পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ
ফেনীর দাগনভূঁঞায় মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার 
ফেনীর ফুলগাজীতে দুই মহিলা ছিনতাইকারী গ্রেফতার
বালিয়াডাঙ্গীতে এক পরিবারের চার সন্তানই প্রতিবন্ধী
পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে 
Russia Ukrain: বাংলাদেশি জাহাজে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া 
সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায়
নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্য তেলের বাজার
ইউক্রেনে নাজুক অবস্থায় পড়ে গেছি: প্রতিমন্ত্রী

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget