Articles by "মৃত্যু"

 


নিজের সন্তান হত্যাকারী পিতা, ১২ বছর পর রেবের হাতে গ্রেপ্তার।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তর্গত দুধনই গজারী কুড়া গ্রামের মোঃ মোস্তফা (২৮) নিজের ৫ মাস বয়সী ছেলেকে ঢেকির উপর আছড়িয়ে হত্যা করার মামলায় লোমহর্ষক ঘটনার মামলায় ১২ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিল। ২০২০ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় বিজ্ঞ আদালত। অবশেষে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১
(জামালপুর) ক্যাম্পের আভিযানে ১জানুয়ারি রবিবার বিকাল সাড়ে চারটায় ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানার নন্দীপাড়া হাজীবাড়ি এলাকা থেকে মোস্তফা গ্রেপ্তার হয়। তাকে ঝিনাইগাতী থানায় উক্ত মামলার ওয়ারেন্ট মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১(জামালপুর) ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার আশিক উজ্জামান সাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে,  চাঞ্চল্যকর পাঁচ মাসের শিশুসন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত  মোস্তফা ১২ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকাকালে কুদ্দুস, রজব আলী, ইয়াসিন আলী, সজীব নাম পরিচয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অটোচালক হিসেবে বসবাস করে আসছিল।

মামলা সূত্রে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঝিনাইগাতী থানার গজারী কুড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোস্তফা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে পরিচয় সূত্রে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার টুপকারচরের রোজিনা বেগমের (বাদী) সাথে ২০০৭ সালে বিয়ে হয়। কিছুদিন নিজ গ্রামে সংসার করার পর দুজনেই ঢাকায় গিয়ে আবারও গার্মেন্টসে চাকরি করে। 

বাদী গর্ভবতী হলে তারা বাড়িতে চলে আসে এবং একটি পুত্র সন্তান লাভ করে। জীবিকা নির্বাহের জন্য আসামি দিনমজুরি করতে থাকে এবং বাদীর পিতার বসবাসের জায়গা না থাকায় এসময় একই গ্রামের সোহরাব মেম্বার এর ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪৮) এর বাড়িতে পরিত্যক্ত একটি রান্নাঘরে সপরিবারে বসবাস করতে থাকে। 

বিগত ২০/০৫/২০১১ ইং বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক দ্বন্দ্বে মোস্তফা রোজিনার উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। এতে রোজিনা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাতেও মোস্তফা না থেমে এক পর্যায়ে নিজের পাঁচ মাস বয়সী শিশু ছেলে মোঃ আসিফকে দুই পা ধরে ঢেকির সাথে আছড়িয়ে হত্যা করে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয়। পরবর্তীতে জামিন পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায় সে। বিজ্ঞ আদালত ২/১২/২০২০ ইং তারিখে মৃত্যুদন্ডের সাজা দেয় আসামি মোস্তফাকে।
 
বার্তাপ্রেরকঃ  
এম শাহজাহান ঝিনাইগাতী শেরপুর। 

আরো পড়ুন:


 

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা


অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা আর নেই

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা আর নেই। আজ রবিবার দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। কোমায় চলে যান তিনি। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। আর জ্ঞান ফেরেনি। 

রবিবার সকালেও অভিনেত্রীর বেশ কয়েক বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তার পর থেকেই পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। সেই সময় হাসপাতালে ছিলেন তার মা-বাবা এবং পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য।
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা


গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হৃদ্‌যন্ত্র স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছিল বার বার। শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বার দশেক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই ধাক্কা আর সামলাতে পারলেন না ঐন্দ্রিলা।

অতীতে দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ঐন্দ্রিলা। ২০১৫ সালে, একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম বার ক্যানসার ধরা পড়ে তার। কর্কট রোগের আক্রমণ হয়েছিল তার অস্থিমজ্জায়। দ্বিতীয় বার ২০২১ সালে। সে বার ফুসফুসে টিউমার। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই চলেছে তার অভিনয়ের কাজ।

আরো পড়ুন:


 



ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু 


ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার গড়েয়া মিলনপুর গ্রামের এক পুকুরের পানিতে গোসল করতে গিয়ে সাকিব ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।


মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪ টায় গড়েয়া মিলনপুর গ্রামের এক পুকুরের পানি থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। 


সাকিব ইসলাম ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছোট ছেলে। 


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর অয়ারহাউস ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসাইন। 


অয়ারহাউস ইন্সপেক্টর মো. সারোয়ার হোসাইন বলেন, সাকিব ইসলাম তার বন্ধুদের সাথে পুকুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন। তাকে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করার পরেও না পেয়ে আমাদের খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম গিয়ে ওই পুকুরের গভীর পানি থেকে সাকিব ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 


আরো পড়ুন:



 



ঝিনাইগাতীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত


শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ফজল হক (৬৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছে। তিনি উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাকাবর গ্রামের মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে। 

৩০ জুলাই শনিবার রাতে উপজেলা সদরের ডাকাবর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফজল হক ঝিনাইগাতী - শেরপুর সড়কের ডাকাবর ব্র্যাক অফিসের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় রাংটিয়া থেকে আগত দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়।


এতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে  শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা থেকে মোটরসাইকেলসহ চালক শান্তকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে । শান্ত শেরপুর জেলা সদরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।  

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফজল হকের লাশ শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল রয়েছে।  ঘটনা’র সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়া বলেন লাশের ময়নাতদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 


আরো পড়ুন:





হত্যা মামলায় রাণীশংকৈলের মাফিজুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর দণ্ডাদেশ!


ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মাফিজুল ইসলাম (৩২) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।


বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মো. মাফিজুল ইসলাম জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামের মৃত রিয়াজ আলীর ছেলে।


৮৩/২০১৫ নং মামলার একমাত্র আসামি মাফিজুল ইসলাম -এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে দণ্ডবিধি’র ৩০২ ধারায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্যানেল কোডের ৩০২ ধারায় বর্ণিত সর্বোচ্চ শাস্তি মুত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং আসামিকে একই সাথে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত করেন জেলা দায়রা জজ।


এছাড়াও সুপ্রীম কোর্টের হাইকোট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে দণ্ডিত আসামি মাফিজুল ইসলামকে যতক্ষণ পর্যন্ত তার মৃত্যু না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দণ্ডাদেশ কার্যকর করার জন্য নির্দেশ এবং জরিমানার অর্থ ভিকটিমের সন্তানদ্বয়কে প্রদান করার জন্য ও আসামি বরাবরে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ প্রদান করেন।


মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ২০১২ সালের (২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৭টা ৪৫ মিনিটে রাণীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামে মো: দুলাল হোসেনের বাড়ির ভিতর আঙ্গিনায় তার স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগমসহ (২১) তার দুই সন্তানকে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ করে আসামি মাফিজুল ইসলাম বাড়িতে প্রবেশ করে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে জ্যোৎস্নাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এতে জ্যোৎস্না বেগম চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটে পড়লে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি।


এসময় দুলালের ছেলে মেয়ে ও তার চাচা-চাচির চিৎকারে আসামি ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।


ঘটনার দুই বছর আগে মাফিজুল ইসলাম জ্যোৎস্না বেগমের সাথে জোর পূর্বক প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক করার চেষ্টা করলে এলাকায় এই বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও গুণিজন ব্যক্তি দ্বারা শালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মাফিজুল ইসলাম ১৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও প্রদান করেন। পরে আবার মাফিজুল ইসলাম দুলাল হোসেনের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগমের সাথে গোপনে গোপনে পুনরায় প্রেম ভালবাসার চেষ্টা করলে তা প্রত্যাখান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ও পরিকল্পিত ভাবে জ্যোৎস্নাকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করে।


এ ঘটনায় বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায় দুলাল হোসেন মাফিজুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেন (২ সেপ্টেম্বর) ২০১২ ইং তারিখে। পরে তৎকালীন রাণীশংকৈল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. রেজাউল আলম মামলাটি তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন (৩১ মে) ২০১৩ সালে আদালতে জমা দেন।


রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায় এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর প্রতি যেকোন ধরনের সহিংসতা বন্ধে এটি একটি যুগান্তকারী রায়। আদালত ৮৩/২০১৫ নং মামলায় একমাত্র আসামি মাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ও সন্তোষজনকরুপে প্রমাণিত হওয়ায় প্যানাল কোডের ৩০২ ধারার বর্ণিত সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত এবং একই সাথে ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেছেন।


আরো পড়ুন:



Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget