জানা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে এফডিসিতে মোট ৩০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট শুরুর আগেই বিভিন্ন স্থানে পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে এফডিসির মূল ফটকের দুইপাশেই অবস্থান নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। তবে এই নির্বাচনকে ঘিড়ে এত কড়া নিরাপত্তা প্রয়োজন ছিল না বলে মনে করেন এবারের নির্বাচনের সভাপতি পদপ্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন।
নির্বাচনে ভোট দিতে সকালেই এফডিসিতে আসেন ইলিয়াস কাঞ্চন। শুক্রবার সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে তিনি ভোট দেন। এরপর অন্যান্য প্রার্থী, সদস্যরা ভোট দেওয়া শুরু করেন। ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইলিয়াস কাঞ্চন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এফডিসিতে যখন ঢুকলাম, মনে হচ্ছে যুদ্ধ হবে! এত নিরাপত্তা তো এখানে আসলে দরকার নাই। এখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয় না, নিরাপত্তা একটু কম হলে ভালো হতো।’
তিনি আরও বলেন, তিনি বলেন, ‘ এখনো পর্যন্ত সার্বিক অবস্থা ভালোই দেখছি। আশা করছি ভোটাররা সঠিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। ভবিষ্যত তো বলা যায় না। বাকি ভোটাররা আসলে আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে।’
উল্লেখ্য, গত দুই মেয়াদে নির্বাচিত মিশা-জায়েদ জুটির বিরুদ্ধে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে লড়ছেন কাঞ্চন-নিপুণ। এই নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৪২৮ জন। তবে ভোটাধিকার হারানো সমিতির ১৮৪ জন সদস্য এবার ভোট দিতে পারছেন না। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে রিট করা হলেও তা এখনো সুরাহা হয়নি।
নির্বাচনের প্রধান কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা শহীদুল হারুণ। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। এই বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন