গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাফে করোনায় প্রায় চার হাজার নতুন রোগী বেড়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় বেড়েছে শনাক্তের হার ও মৃত্যু।
গত ২৪ ঘণ্টায় (২৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২৪ জানুয়ারি সকাল ৮টা) করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮২৮ জন। গতকাল (২৩ জানুয়ারি) ১০ হাজার ৯০৬ জন শনাক্তের কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। অর্থাৎ, একদিনের ব্যবধানে নতুন শনাক্ত রোগী বেড়েছে তিন হাজার ৯২২ জন।
প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর শনাক্ত আজ ১৫ হাজারের কাছাকাছি। এর আগে গত ৩ আগস্ট ১৫ হাজার ৭৭৬ জন রোগী শনাক্ত হন।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ১৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আজকের এই শনাক্তের হার গত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৪ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ৩২.৫৫ শতাংশ।
অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ১৪ হাজার ৮২৮ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে শনাক্ত হলেন ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জন এবং ১৫ জনকে নিয়ে মোট মারা গেলেন ২৮ হাজার ২৩৮ জন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৯৮ জন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
দেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৬ শতাংশ।
অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৫ হাজার ৯৯৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৮০৭টি। দেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ২১ লাখ ৬২ হাজার ৬৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৩ লাখ সাত হাজার ৭৪৫টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪২টি।
মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৯ জন আর নারী ছয় জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৫০ জন এবং নারী ১০ হাজার ১৮৮ জন।
১৫ জনের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আছেন পাঁচ জন, ৬১ থেকে ৭০ ও ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন তিন জন করে, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আছেন দুই জন এবং ৩১ থেকে ৪০ ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে আছেন একজন করে।
অধিদফতর জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ছয় জনই ঢাকা বিভাগের। ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন তিন জন, সিলেট বিভাগের দুই জন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আছেন একজন করে।
এদের মধ্যে ১২ জন সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন তিন জন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন