নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় সেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন আসামি। আসামিকে দিয়ে গাড়ি চালানোয় সে কৌশলে গাড়ি খাদে ফেলে নিজে পালিয়ে যায়।
এতে দুই এসআইয়ের মৃত্যু ঘটলেও পালিয়ে যায় আসামি।
নিহতরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরীফুল ইসলাম। তারা সোনারগাঁ থানায় কর্মরত। স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ দুর্ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছেন। তাকে মূমুর্ষূ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং শেষে সোনারগাঁ থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী সালেহ আহম্মেদ, শরিফুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম মাইক্রোবাসে থানায় ফিরছিলেন। পথে সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
প্রত্যক্ষদর্শী টমটম চালক মোক্তার হোসেন জানায়, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দত্তপাড়া বাদশা গ্যারেজের একটু সামনে একটি প্রাইভেটকার দ্রুতগতিতে এসে পুকুরে পড়ে যায়। গাড়িটি মহাসড়ক থেকে সোনারগাঁ থানার দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি মুহূর্তের মধ্যে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর থেকে পুলিশের তিন সদস্যকে উদ্ধার করে আমার টমটমে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুর আলী বলেন, গাড়িটি পুকুরে পড়ার পর রশি বেঁধে উল্টে ইট দিয়ে গ্লাস ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত এএসআইকে আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন