সাত বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। টিভি দেখানোর নাম করে নির্যাতিতা নাবালিকাকে ওই যুবক নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেখানেই নাবালিকার উপর অত্যাচার চালানো হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ার দ্বারবাসিনী এলাকায়। অভিযুক্ত যুবককে বুধবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় নাবালিকার মা-বাবা দু’জনেই বাড়ির বাইরে ছিলেন। সে সময় প্রতিবেশী যুবক সুজন বাউল দাস ওই নাবালিকার বাড়িতে আসেন। টিভি দেখাবেন বলে নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। অভিযোগ, বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সাত বছরের মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন চালান অভিযুক্ত। যন্ত্রণায় কাতর নাবালিকার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরা নাবালিকার বাবা-মাকে খবর দেন। ঘটনার পর নির্যাততাকে প্রথমে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে পাঠানো হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে নির্যাতিতা।
নির্যাতিতার মামা পাণ্ডুয়া থানায় অভিযুক্ত সুজন বাউল দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার নিন্দা করে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করেছেন পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বিরাজ চৌধুরী। নির্যাতিতাকে দেখতে হাসপাতালেও যান তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন