আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করেছে পাকিস্তানে। আর এর জের ধরে দীর্ঘ নয় বছর পর বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান যাচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ।
আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর এতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ১৮ ডিসেম্বর সিনিয়র অফিসিয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্র সচিব । এর পরদিন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উল্লেখ করেন, ‘আমি ১৮ ডিসেম্বর এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ১৯ ডিসেম্বর বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।’ ওআইসি’র অনুষ্ঠানের বাইরে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনও বৈঠক হবে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘না, সেরকম কোনও কিছু হচ্ছে না।’
২০১২ সালে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পাকিস্তান সফর করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। তারও আগে ২০১০ সালে দ্বিপক্ষীয় পঞ্চম পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তান যান তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যায় এবং একাধিক যুদ্ধাপরাধীর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার এবং কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সংসদ বিবৃতি দিলে তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার প্রসঙ্গ ওঠায় আলোচনা বেশিদূর এগোয়নি।
পাকিস্তানে ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৯ ও ২০২০ সালে দুই দফা টেলিফোন করেন। চলতি বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ইমরান খানের একটি শুভেচ্ছা বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন