এ ধর্ষণ মামলার ৩ নম্বর আসামি ইসরাফিল হুদা জয়কে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে চকরিয়ার বাস টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন।
গ্রেফতারকৃত জয় কক্সবাজার শহরের শফিউদ্দীনের ছেলে ও ঘটনার মূল হোতাদের একজন।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মুসলিম বলেন, এ পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত আশিকসহ এজাহারনামীয় তিনজন এবং ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার জিয়া গেস্ট ইন ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন ৪ দিন এবং অন্য ৩ আসামি দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছে।
দুই দিনের রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন (২৫), চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার উলুবনিয়া এলাকার মামুনুর রশীদ (২৮) ও কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২১)।
এদিকে, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার মাদারীপুর থেকে র্যাব গ্রেফতার করে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে। এর আগে ঘটনার পরদিনই র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর শহরের কবিতা চত্বর রোড সংলগ্ন এক ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের আবাসিক হোটেলে। দ্বিতীয় দফায় সেখানেও তিনি ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর চারজনের নাম উল্লেখ করে ও দু-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী।
এদিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ধর্ষণের শিকার পর্যটক তার হৃদরোগে আক্রান্ত আট মাসের শিশুর চিকিৎসার জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে যান। পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ জোগানোর বিষয়টি জেনে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ধর্ষক আশিক ও তার সহযোগীরা। এ অর্থ না দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন জানান, মাদারীপুরে র্যাবের হাতে ধৃত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিককে আমাদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন