বুধবার বার্লিনের আদালত এক রাশিয়ার নাগরিককে আজীবন বন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৯ সালের ২৩ অগাস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে এক চেচেন জনগোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা করেছিল সে। বার্লিনেই সেই ঘটনা ঘটে। যাকে হত্যা করা হয়েছিল, তিনি জর্জিয়ার নাগরিক ছিলেন।
ঘটনার পরের দিনই বার্লিনের পুলিশ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে। দেখা যায় সে রাশিয়ার নাগরিক। জার্মানিতে নাম গোপন করে সে থাকছিল। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে রাশিয়ার দূতাবাসের দুই কূটনীতিকের যোগাযোগ ছিল। বস্তুত, তাদের নির্দেশেই এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। নাম বদলে ওই কূটনীতিকদের সঙ্গে জার্মানির একাধিক সীমান্তে হত্যাকারী গেছে বলেও আদালতে দাবি করে পুলিশ।
আদালতের রায়ের পরেই জার্মানির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সার্গেই নেচায়েভকে ডেকে পাঠান। জার্মানি এই ধরনের বিষয় বরদাস্ত করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। একই সঙ্গে ওই দুই রাশিয়ার কূটনীতির বিরুদ্ধে পার্সোনা ননগ্রাটা বা বহিষ্কারের নির্দেশ দেন তিনি। বেয়ারবক জানিয়েছেন, মস্কোর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করতে চায় জার্মানি। জার্মানির মাটিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার অভিযোগ, ওই হত্যার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ এফএসবি জড়িত ছিল।
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
জার্মানির এই নির্দেশে ক্ষুব্ধ রাশিয়া। রাষ্ট্রদূত সার্গেই নেচায়েভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জার্মানির এই নির্দেশের সঙ্গে মস্কো সহমত নয়। অভিযুক্ত হত্যাকারী উচ্চতর আদালতে আপিল করেছে। যে প্রক্রিয়ায় বার্লিন দুই কূটনীতিককে বিতাড়িত করেছে, তা ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক কূটনীতি নয়, ব্যক্তিগত রোষ থেকেই জার্মানি এ কাজ করেছে। এভাবেই জার্মানি সহ পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়ার উপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ঘটনা তারই অন্যতম নিদর্শন।
রাশিয়া যে জার্মানির এই নির্দেশ ভালো চোখে দেখছে না, তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে মস্কো। এখন দেখার জার্মানির নির্দেশের পর রাশিয়াও জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় কি না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন