সারা বিশ্বে ৫০ হাজার মানুষের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপরে নজর রেখেছিল হ্যাকাররা। আর এর পেছনে যুক্ত ছিল ভারত, ইসরাইলসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান।
এমনই চঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। বৃহস্পতিবার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয় বলে খবর প্রকাশ করে এএফপি।
সেখানে মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়, সারা বিশ্বে প্রায় ১০০ দেশের অধিকারকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম থেকে প্রায় দেড় হাজার পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব পেজ ব্যবহার করেই মূলত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হতো। আর সাতটি প্রতিষ্ঠান এসব অ্যাকাউন্ট ও পেজ ব্যবহার করত বলে বলা হয় সিএনএন ও রয়টার্সের খবরে।
এ ছাড়া হ্যাকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে মেটা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এসব হ্যাকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জোরদার করেছে।
এমন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইসরাইলের আড়িপাতার সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন সরকার। এদিকে মেটাও এনএসওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে।
এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে— ইসরাইলের ব্ল্যাক কিউব। এ প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবহার করেছিলেন ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হলিউডের প্রভাবশালী প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিন। ভারতের বেলট্রক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামও রয়েছে এতে। ইসরাইলের কবওয়েবস টেকনোলজিস, কগনাইট, ব্লুহোয়াক সিআইয়ের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে ফেসবুক থেকে। এ ছাড়া উত্তর মেসিডোনিয়ার সাইট্রক্স ও চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টও মুছে দিয়েছে ফেসবুক।
এ প্রসঙ্গে মেটার সিকিউরিটি পলিসি বিভাগের প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইচার বলেন, এনএসওর মতো শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, আড়িপাতার জন্য সফটওয়্যার তৈরি করতে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে এসব আড়িপাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সন্ধান কীভাবে মিলেছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি মেটা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন