ঢাকা দেখছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস হকির নতুন ফাইনাল, যে মহারণে ভারত ও পাকিস্তান নেই! ঢাকার দর্শকদের জন্য হয়তো অনাকর্ষণীয়, তবে এশিয়ান হকির জন্য এটা নব শক্তির উত্থানের গল্প। সেমিফাইনালে জাপান ৫-৩ গোলে ভারতকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেওয়ার আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেমিফাইনালে কোরিয়া ৬-৫ গোলে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। তাই নতুন ফাইনালের মঞ্চে এখন জাপান ও কোরিয়া, আজ সন্ধ্যা ৬টায় তারা মুখোমুখি হবে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে।
প্রথম সেমিফাইনালে কোরিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় মিনিটে উমর ভুট্টোর ফিল্ড গোলে পাকিস্তানের দারুণ শুরু হয়। কিন্তু ১১ মিনিটে জ্যাং জং ইয়োনের পেনাল্টি স্ট্রোকে গোলে সমতায় ফেরে কোরিয়া। পরের মিনিটে তাঁর আরেকটি পেনাল্টি স্ট্রোকে কোরিয়া লিড নেয়। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে মঞ্জুর ফিল্ড গোলে পাকিস্তান ম্যাচে ফিরলেও ২৫ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন দলকে জ্যাং জং। এবার আফরোজের ফিল্ড গোলে আবার লড়াইয়ে ফেরে পাকিস্তান।
তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে গিয়ে কোরিয়া ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। গোল করেন জ্যাং জং ও জুন উ। তবে শেষ কোয়ার্টারে জোড়া গোলে পাকিস্তানকে খেলায় ফিরিয়ে ম্যাচের শেষটা আকর্ষণীয় করে তোলেন মুবাশার আলী। দুই পক্ষই সতর্ক, কোনোভাবে গোল খেতে চায় না। ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি কর্নারেই খুলে যায় কোরিয়ার পথ। সেই জ্যাং জং জয়সূচক গোলটি করে ফাইনালে তুলে নেন কোরিয়াকে। ৩৭ বছর বয়সী জ্যাংয়ের চার গোলে ২০১১ সাল থেকে শুরু এ টুর্নামেন্টে তারা প্রথমবারের মতো ফাইনালে। আর পাকিস্তানও এই প্রথম ফাইনালের বাইরে।
পাকিস্তান তা-ও লড়াই করেছে, কিন্তু দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত দাঁড়াতেই পারেনি জাপানের সামনে। অথচ গ্রুপে এই জাপান ৬-০ গোলে হেরেছিল টোকিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জজয়ীদের কাছে। কিন্তু কাল প্রথম দুই মিনিটে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। জাপানের ইয়ামাদা সোতার পেনাল্টি স্ট্রোকের পর পেনাল্টি কর্নারে গোল করেন ফুজুশিমা। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে দিলপ্রিত সিংয়ের ফিল্ড গোলে ব্যবধান কমানোর পরও ভারত পারেনি ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে। বিশেষ করে অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল এবং অসংখ্য ভুল পাসে তাদের ছন্দহীন দেখায়। গোলের এমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি তারা। জাপানিরা স্কিল ও গতিতে সবাইকে মুগ্ধ করে ৫-৩ গোলে সেমিফাইনাল জিতে পৌঁছে ফাইনালে। কৃষিতা ইয়োশিকি, ওকা রিয়ামা ও কাবে কাসেলের গোলই তাদের এগিয়ে দিয়েছে ফাইনালের মঞ্চে।
প্রতিপক্ষে কেবল ব্যবধান কমিয়েছেন হারমানপ্রিত সিং ও হার্দিক সিং। ২০১৩ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলবে জাপান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন