সুদানে যোগাযোগ বিভ্রাট এবং নিরাপত্তা বাহিনীর টিয়ার গ্যাস উপেক্ষা করে সেনাশাসন-বিরোধী বিশাল বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে মানুষ।
গত ২৫ অক্টোবরে সুদানের সামরিক অভ্যুত্থানের পর শনিবার দেশটিতে এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সুদানের সেনট্রাল কমিটির চিকিৎসকরা বলেছেন, শনিবারের বিক্ষোভে সহিংসতায় ১৭৮ জন আহত হয়েছে। আটজন তাজা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আরেকটি বিবৃতিতে কমিটি বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী খার্তুম হাসপাতাল এবং পোর্ট সুদান হাসপাতালে ঢুকেছে।
সুদানে প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককে গতমাসে প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্বহাল করার পরও সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে, অবাধ একটি নির্বাচনে যাওয়ার সময়টিতে সেনাবাহিনী সরকারে যেন কোনও ভূমিকা পালন না করে।
এক সপ্তাহ আগে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের প্রবেশদ্বারে বসে বিক্ষোভ শুরু করেছিল। পরে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। তবে শনিবার বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভকারীদেরকে ফিরিয়ে দেয় তারা।
সুদানের রাজধানীতে ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। অধিবাসীরা ফোন কল করতে পারছে না রিসিভও করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেনা এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স খার্তুমের সঙ্গে ওমডারমানের সংযোগ সেতু অভিমুখী সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে।
শনিবার কিছু কিছু পরিষেবা চালু হয়েছে। মানুষ কোনওভাবে কয়েকটি শহরে চলমান বিক্ষোভের ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পেরেছে। ওমডারমানে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন রয়টার্সের এক সাংবাদিক।
খার্তুমে বিক্ষোভকারীরা সামরিক অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল বুরহানের নাম তুলে স্লোগান দিয়ে বলেছে, “রাস্তা বন্ধ করুন! সেতু বন্ধ করে দিন! বুরহান আমরা সোজা আপনার কাছেই আসব।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন