প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইনে টাইফুন রাইয়ের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫। রোববার দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের সূত্রে এই খবর জানা যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে আঘাত হানে টাইফুন রাই। টাইফুন থেকে বাঁচতে তিন লাখের বেশি লোক উপকূলে তাদের বাড়িঘর ও পর্যটন রিসোর্ট ছেড়ে যায়। রাইয়ের আঘাতে ফিলিপাইনের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চল সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
টাইফুনে বিভিন্ন স্থানের যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায়, সংশ্লিষ্ট এলাকার খবর জানা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য বহল প্রদেশের গভর্নর আর্থার ইয়াপ এক ফেসবুক বার্তায় জানিয়েছেন, টাইফুনে তার প্রদেশে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো ১০ ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন এবং ১৩ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা এখনো প্রায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ৪৮ শহরের মধ্যে মাত্র ২১টির মেয়র আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন।’
তিনি আশঙ্কা করেন, ঝড়ে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এদিকে দুর্গত অঞ্চলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যেই হাজার হাজার সামরিক বাহিনী সদস্য, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও দমকলকর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের পরিবহনমন্ত্রী আর্থার টুগাদে রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তে ইতোমধ্যেই দুর্গতদের সরাসরি প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত থাকুন, আমরা সাহায্য নিয়ে আসবো।’
সারাবছরই সামুদ্রিক ঝড় টাইফুনের কবলে পড়ে ফিলিপাইন। প্রতি বছরই গড়ে ২০টি টাইফুন আঘাত হানে দেশটিতে। বিশেষ করে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশটিতে বর্ষার সময়ই বেশিরভাগ টাইফুন আঘাত হানে।
সাম্প্রতিকতম সময়ে ২০১৩ সালের নভেম্বরে এক টাইফুনে বিপুল প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। টাইফুন হাইইয়ান নামে পরিচিত এই ঝড়ে সাত হাজার তিন শ’র বেশি লোক প্রাণ হারায় বা নিখোঁজ হয়।
সূত্র : আলজাজিরা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন