দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে শপথ পড়িয়েছেন, সেই ডায়াসের পোডিয়ামে মুজিববর্ষ বানান-ই ভুল ছিল! সেখানে মুজিববর্ষের জায়গায় লেখা হয়েছে মুজিবর্ষ! একটি ঐতিহাসিক জাতীয় অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের এটি নজরে পড়েনি। দায়িত্বরতদের খামখেয়ালিপনায় সারা বিশ্ব দেখল বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতার বিকৃত নাম!
জাতির পিতার নামের এমন বিকৃতির ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র সমালোচনা চলছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— এমন জাতীয় অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির দায়িত্বশীলতা নিয়ে।
সেই বানান ভুলের ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। শুক্রবার কমিটির মিডিয়া কনসালট্যান্ট আসিফ কবীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে— পোডিয়ামের বানান ভ্রান্তিটির প্রাথমিক খোঁজখবরে যা জানতে পেরেছি, তা হলো— আমরা একটি চিপ-এ পিসি থেকে ট্রান্সফার করে এলইটি মিনি মনিটরে লেখাটি উৎকীর্ণ করেছি। ডিভাইস ট্রান্সফারের কোনো পর্যায়ে একটি ‘ব’ অক্ষর অমিট হয়ে গেছে। আমরা পিসিতে চেক করে দেখেছি এটি ঠিকই আছে। অ্যাডভান্স টেকনোলজির বিষয়টি হয়তো স্যুট করেনি। পোডিয়ামে সংযুক্ত এলইডিতে লেখাটি পরিস্ফুটন করা হয়েছিল। পোডিয়ামের মনিটরেই আমরা ত্রুটিপূর্ণ বানান দেখতে পাই। এমন প্রাযুক্তিক গোলমাল দৃষ্টিতে আসার পরপরই নামাজের বিরতিতে ত্রুটি সারাই করা হয় এলইডি মাধ্যমটি পরিবর্তন করে।
১৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এর পরই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই জাতিকে শপথ করাতে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
বিকাল পৌনে ৫টায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত থেকে শপথবাক্য পাঠ করান। দেশের সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গণমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শপথের ছবি প্রকাশ হওয়ার পরই বানান ভুলের বিষয়টি সবার চোখে পড়ে। প্রশ্ন তোলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অনেকেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন