এলাকার দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়ে যান একই ঘরের দুই গৃহবধূ (সম্পর্কে জা)। এদের মধ্যে একজনের সাত বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। সেই ছেলের মায়া ত্যাগ করেই সামান্য এক রাজমিস্ত্রির হাত ধরে পালিয়ে যান তিনি।
ঘটনাটি ভারতের পশ্বিমবঙ্গের বালির নিশ্চিন্দা নামক এলাকার, যা নিয়ে ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ইতোমধ্যে পালিয়ে যাওয়া দুই গৃহবধূকে ফিরিয়ে এনেছে নিশ্চিন্দা থানা পুলিশ। বুধবার আসানসোল স্টেশন গিয়ে তাদের ধরে ফেলে পুলিশের চৌকস একটি দল।
প্রশ্ন উঠেছে— স্বামী-সন্তান ছেড়ে কেন পালিয়ে গেলেন তারা? কেন রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়িয়েছিলেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে?
দুই গৃহবধূর একই জবাব— ব্যস্ত স্বামী তাদের সময় দিতে পারতেন না। তাই ক্ষোভে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তারা।
গত ১৫ ডিসেম্বর শীতের পোশাক কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বালির নিশ্চিন্দার বাসিন্দা অনন্যা কর্মকার ও তার জা রিয়া কর্মকার।
পরিবারের অভিযোগে হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশ। এক সপ্তাহ পর দুই জাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় তারা।
পুলিশি জেরায় অনন্যা জানান, আট বছর বিয়ে হলেও সন্তান হয়নি তার। কাজে ব্যস্ত স্বামী বেশি সময়ও দিতে পারতেন না তাকে। সব মিলিয়ে সংসার জীবনে একঘেয়েমি গ্রাস করেছিল তাকে।
একই সমস্যা তার জা রিয়ার। ১০ বছর আগে বিয়ে হওয়া রিয়ার ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু স্বামী সময় দিতে না পারায় বিরক্তি ধরে যায় মনে। এমন পরিস্থিতিতে কথা বলার বন্ধু খুঁজছিলেন তারা দুজনেই।
এ সময় রাজমিস্ত্রি শেখর ও শুভজিতের সঙ্গে পরিচয় হয়। মিষ্টভাষী শেখর এবং শুভজিতের কথামালায় রোমান্টিক জগতে হারিয়ে যান অনন্যা ও রিয়া। অল্পসময়ের মধ্যেই তাদের প্রেমে পড়ে যান দুজনে। একসময় প্রেম এত গাঢ় হয় যে, তারা বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন