পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশকিছু দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। এ নিয়ে সংলাপের আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি। তবে রাশিয়ার এসব দাবি ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো মেনে নিবে, এমন সম্ভাবনা পাওয়া যাচ্ছে না।
শুক্রবার ‘সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের' জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে একাধিক দাবির একটি তালিকা উত্থাপন করেছে রাশিয়া। খবর ডয়েচে ভেলের
ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের আশঙ্কা এবং বেলারুশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সীমান্তে হাইব্রিড যুদ্ধের আশঙ্কায় পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে এ তালিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন, ককেশাস এবং মধ্য এশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক কার্যকলাপের অবসান চায় রাশিয়া। এছাড়া ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা আর না বাড়ানো, বিশেষ করে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে এটা যেন না হয়, সেই দাবিও জানিয়েছে দেশটি।
সীমান্তের অপর প্রান্তে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম এমন কোনো মধ্য বা স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কাছাকাছি মোতায়েন যেন না করা হয় সেদিক থেকেও দাবি জানিয়েছে মস্কো। পরস্পরের নির্ধারিত সীমান্ত অঞ্চলে একাধিক সামরিক ব্রিগেডকে সম্পৃক্ত করে সামরিক মহড়া চালানো যাবে বলেও ন্যাটোকে শর্ত দিয়েছে দেশটি।
এছাড়া রাশিয়ার দাবি তালিকায় রয়েছে, একে অপরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করবে না এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধের সমাধান করবে, এমন একটি চুক্তি করতে হবে। রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র তাদের জাতীয় সীমানার বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে পারবে না।
রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়া ও পশ্চিমাদের সম্পর্ক পুনর্গঠনে নতুন করে কাজ শুরু করতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ‘আক্রমণাত্মক’ করে তুলেছে, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন এবং তার ন্যাটো মিত্রদের অবিলম্বে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। অনির্ধারিত মহড়া, সামরিক জাহাজ ও প্লেন চলাচল এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সামরিকায়ন বন্ধ করতে হবে।
এ ব্যাপারে রাশিয়া শিগগিরই আলোচনা শুরু করতে ইচ্ছুক এবং আলোচনার স্থান হিসেবে জেনেভার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান সের্গেই রিয়াবকভ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন