এবার এই নোটিশের পরই কার্যত অসুস্থ হয়ে পড়েন ঢাকা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘আমি এখনো নোটিশ হাতে পাইনি। পাওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলতে পারব। এর আগে আদালত থেকে আমাকে যখন বলা হয়েছিল, তখন ১ ঘণ্টার মধ্যে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলি। এখন যে ভিডিওর কথা বলা হয়েছে, সেগুলো আমি শেয়ার করিনি। বরং আমার ব্যক্তিগত ভিডিও অন্য কেউ ফেসবুকে দিয়েছে। নোটিশ হাতে না পেলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আজকের খবরটি পেয়েছি। দেখে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এমন অত্যাচারের মানে হয় না।’
পরীমণি আরও বলেন, ‘আমার ফেসবুক তো সবার জন্য খোলা। একটু দেখে নিন আর তারপর বলুন আমার পেজে ঠিক কোন ভিডিওটা অশ্লীল। আমার পেজে এমন কোনো ভিডিও নেই যেটা সরাতে হবে। যদি সরাতেই হয় তাহলে আমাকে অপমান করে যারা ভিডিও বানিয়েছে, তাদের সরাতে হবে। ফেসবুক সম্পর্কে আগে তো জানতে হবে তাদের।’
উল্লেখ্য, এই ঘটনার সূত্রপাত ১লা সেপ্টেম্বর। মাদক মামলায় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই প্রকাশ্যে আসেন তিনি। সেখানে গাড়ি থেকে অনুগামীদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ভালো ভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে সেই সময় তাঁর হাতে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। পরবর্তীতে ১৫ই সেপ্টেম্বর ফের আদালতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে, ওইদিন ও তাঁর হাতের তালুতে লেখা ছিল অশ্লীল কথা। শুধু এখানেই শেষ নয়। নিজের ৩০ তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকার হোটেল রেডিসন ব্লুতে উন্মাদের মত নাচতে দেখা গিয়েছে তাঁকে, সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে পরীমণির কথায় জন্মদিনের এতদিন পর হঠাৎ আজ এ বিষয়টি কেন তুলে আনলেন ওই দুই আইনজীবী? তাঁর কথায় যারা তাঁকে ঘিরে ভিডিও তৈরি করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেবেন পরী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন