এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স হকিতে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। শুট আউটে জাপানকে হারিয়ে শিরোপা জয় করল তারা।
বুধবার মওলানা ভাসানি জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জাপানকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে দ. কোরিয়া।
নির্ধারিত ৭০ মিনিটের খেলা শেষ হয়েছিল ৩-৩ গোলে। তাই জয়-পরাজয় নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। লীগ পর্বেও ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল দল দুটি।
ফাইনালে শুট-আউটে কোরিয়ার হয়ে গোল করেছেন লী জুং জুন, জি ও চিওন, ওয়াং তায়েল ও লী হায়ে সিউং। আর জাপানের হয়ে গোল করেন ওকা রায়োমা ও সারেন তানাকা।
জাপানের রাইকি ফুজিশিমা ও কোসেই কাওয়াবের প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে ম্যাচের নায়ক বনে যান কোরিয়া গোলরক্ষক কিম জা ইয়োন।
টুর্নামেন্টে কোরিয়ার ৩৭ বছর বয়সি ডিফেন্ডার জ্যাং জং ইয়োন সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছেন। ২০০৭ ও ২০১১ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন বর্ষীয়ান এ ডিফেন্ডার। ৮ গোল করেছেন ভারতের ডিফেন্ডার হারমানপ্রিত সিং।
প্রথম কোয়ার্টারে জাপানের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। বলের দখল রেখেই খেলছিল এশিয়ান গেমসের চ্যাম্পিয়নরা। তবে শ্রোতের বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে ৮ম মিনিটে বামদিক থেকে জ্যাং জি হুনের হিট স্টিকে দিক পরিবর্তন করে বল জালে পাঠান কোরিয়ার জিয়ং জুন উ। এরপর ১০ ও ১২ মিনিটে দুটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি জাপান।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ২৪ মিনিটে কেন নাগায়োশির পেনাল্টি কর্নার গোলে সমতায় ফিরে জাপান। ২৯ মিনিটে ওকা রায়োমার ফিল্ড গোলে লিড নেয় তারা। তৃতীয় কোয়ার্টারে ইয়োশিকি কিরিশিতার পেনাল্টি কর্নার গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জাপান।
চতুর্থ কোয়ার্টারে জ্যাং জং ইয়োনের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলে করে ব্যবধান কমিয়ে ৩-২তে নিয়ে আসে কোরিয়া। শেষ মুহূর্তে জ্যাং জং ইয়োনের পেনাল্টি কর্নার গোলে ৩-৩ গোলের সমতায় ফিরে আসে কোরিয়া।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন