যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে নতুন আর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তার দেশ তা খতিয়ে দেখছে।
মালয়েশিয়া সফরে এসে বুধবার তিনি এ কথা বলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে টালমাটাল সময় পার করছে।
দেশটির রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও জোটের অনেক সদস্যই আসিয়ানকে দেওয়া কথা বাস্তবায়নে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের শ্লথগতিতে বিরক্ত। এর ফলশ্রুতিতে জোটের সর্বশেষ বৈঠকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধানকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
“দেশটিকে ফের গণতান্ত্রিক পথে ফেরাতে আসছে সপ্তাহ ও মাসগুলোতে একক ও সম্মিলিতভাবে আর কী কী পদক্ষেপের মাধ্যমে মিয়ানমারের শাসকদের চাপে রাখা যায়, তা বের করা গুরুত্বপূর্ণ,” বলেছেন ব্লিনকেন।
মার্কিন এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তাকে ‘গণহত্যা’ বলা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা অনেক দেশ এরই মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা নাম ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
মালয়েশিয়া সফরে নেমে ব্লিনকেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর নেতাদেরকে একটি সম্মেলনে ডেকেছেন।
“আগামী বছর আসিয়ানের সঙ্গে বিশেষ একটি সম্মেলন করার দিকে তাকিয়ে আছি আমরা,” বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯ জানুয়ারি এক বৈঠকে বাইডেনের আমন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করবেন। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন