রাজশাহীর বাগমারায় বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে করা মোনাজাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জান্নাত চেয়ে মোনাজাতকারী তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মো. আব্দুর রাজ্জাককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাজশাহীর বাগমারা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মৃধা মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক ওই দিন অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য একটি শব্দ উচ্চারণ করেছেন। এ জন্য শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে জরুরি সভা করে সর্বসিদ্ধান্তক্রমে তাকে পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে দলের সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের জান্নাত চেয়ে মোনাজাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সেই মোনাজাতে সবাইকে আমিন বলতেও শোনা যায়।
উপজেলার তাহেরপুর শহীদ মিনার চত্বরে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ওই মোনাজাত করা হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। আর এ মোনাজাত পরিচালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মো. আবদুর রাজ্জাক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে মোনাজাতে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাবুদ জাতির জনক এবং তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছেন, আল্লাহ তাদের সবাইকে জান্নাত দান করে দিও আল্লাহ। ’
এ সময় বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ উপস্থিত সবাইকে আমিন বলতে শোনা যায়।
তবে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের দাবি, মোনাজাত করতে গিয়ে ভুলবশত এটি হয়েছে। পরে তা সংশোধন করে নেওয়া হয়েছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন