পাকিস্তানের তেহরিক-ই তালেবানের (টিটিপি) এক নেতা অল্পের জন্য ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আফগানিস্তানে অবস্থান করা টিটিপির দুইটি সূত্রের বরাতে আল আরাবিয়া এই খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন হামলায় টার্গেট করা হয়েছিল তেহরিক-ই তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ফকির মোহাম্মদকে। আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের চাওগাম গ্রামে মনুষ্যবিহীন ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। কিন্তু সেখানে মোল্লা ফকির ছিলেন না, উপস্থিত ছিলেন তেহরিক-ই তালেবানের অন্য দুইজন যোদ্ধা। হামলায় তারা সামান্য আহত হয়েছেন।
তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে সেটা জানা যায়নি। পূর্বে এই এলাকায় হামলার জন্য পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই মনুষ্যবিহীন ড্রোন ব্যবহার করেছে।
২০১৮ সালের জুন মাসে এই কুনার প্রদেশে এক ড্রোন হামলায় টিটিপির প্রধান মোল্লা ফয়জুল্লাহ নিহত হয়েছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি সেখানে পালিয়ে থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের চাওগাম আঙ্গিনা টিটিপি যোদ্ধাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আল আরাবিয়ার খবর অনুসারে, টিটিপি নেতা মোল্লা ফকিরকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। দীর্ঘ দিন তাকে বাগারাম কারাগারে রাখা হয়। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে অন্যসব কারাবন্দীর মতো তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত ৯ নভেম্বর পাকিস্তান সরকার তেহরিক-ই তালেবানের সঙ্গে এক মাসের অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে। কিন্তু পাক সরকার টিটিপির সঙ্গে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেনি দাবি করে অস্ত্রবিরতি চুক্তি থেকে গত ১০ ডিসেম্বর সরে আসে। এর একদিন পর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তাঙ্ক জেলায় পাকিস্তানে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন