সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারের প্রস্তাবিত নামের তালিকা জমা দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আরও একদিন সময় বাড়িয়ে সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিএনপির কাছেও নাম চেয়েছেন।
রোববার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি নাম জমা না দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও একদিন সময় দেওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।
সার্চ কমিটির বেঁধে দেওয়া সময় ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নামের সুপারিশ করেছে।
সার্চ কমিটি প্রধানের ঘোষণা অনুযায়ী, এখন ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে বাকি ১৫টি সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত নাম প্রস্তাবের সুযোগ পাবে। এতে করে বিএনপি চাইলে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাদের নাম প্রস্তাব করতে পারবে।
এর আগে বিএনপি সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব করবে না বলে জানিয়েছিল। দলটির নেতারা বলেছিলেন, এ সার্চ কমিটিতে নাম দেওয়া ‘অর্থহীন’, কারণ তাদের বিশ্বাস, সার্চ কমিটি সরকারের ‘মর্জি মতই’ নাম প্রস্তাব করবে।
রোববার বৈঠকের শুরুতে সার্চ কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপিত ওবায়দুল হাসান বলেন, যেসব দল নাম জমা দেয়নি তারা চাইলে সোমবার বিকাল ৫টার মধ্যে দিতে পারবে।
বিএনপিকে দেশের একটি বড় দল হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “বিএনপি, সিপিবি, বাসদ- তারা এখনও নাম জমা দেয়নি, তারা যদি দিতে চান আগামীকাল ৫টার মধ্যে তাদের জন্য সময়টা বর্ধিত করলাম। আশা করি, তারা পজেটিভ রেসপন্স করবে।”
আরো পড়ুনঃ সরকারের সুবিধাভোগীরা নির্বাচন কমিশনে নয়
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করতে সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের নামের তালিকা সংগ্রহ করছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন’ এর আলোকে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।আইন অনুযায়ী, ইসি গঠনে নামের সুপারিশ চূড়ান্তের জন্য সার্চ কমিটির জন্য সময় ১৫ দিন।
গত শুক্রবার প্রস্তাবিত নাম জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ৩০৯ ব্যক্তির নাম জমা পড়ে সার্চ কমিটিতে। নিবন্ধিত দুই ডজন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছয় পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে এসব নাম প্রস্তাব করা হয়।
সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আইন অনুযায়ী যোগ্য বিবেচিতদের মধ্যে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি। তাদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে বেছে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশন।
সেই ইসির ওপরই থাকবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার।
আইন প্রণয়ন ও সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে এবারও শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছে বিএনপি। এবার আমন্ত্রণ পেয়েও দলটি রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি, সার্চ কমিটিতে নাম জমা দেয়নি।
নতুন ইসি নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশ জনগণ ‘ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ইসি গঠনে সার্চ কমিটির নামে সরকার ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠন করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
দলটির আরেক নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্তব্য করেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই সার্চ কমিটি গঠনের নামে সরকার ‘নাটক’ করছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন