আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাই ছবির কিংবদন্তি নায়ক মান্না ওরফে এসএম আসলাম তালুকদারেরর ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন এ চিত্রতারকা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অনেক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন মান্না।
চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন সুপারস্টার শাকিব খান।
মান্নার সঙ্গে তোলা সাদাকালো একটি ছবি পোস্ট করে ঢাকাই সিনেমার কিং খান লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন মান্না ভাই। একেবারেই আনপ্যারালাল। তার প্রতিটি কাজে ছিল আলাদা সিগনেচার। ইন্ডাস্ট্রির ভালোর জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। অশ্লীলতা যখন চরমে, সমসাময়িক অনেকেই চলচ্চিত্র থেকে সরে গিয়েছিলেন; তখনও হাল ছাড়েননি মান্না ভাই। দুঃসময়ে চলচ্চিত্রকে আগলে রেখেছিলেন। সে সময় উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্র। দর্শকদের করেছিলেন হলমুখী।’
শাকিব আরও লেখেন, ‘আমার সৌভাগ্য স্ট্রাগল পিরিয়ডে কয়েকটি চলচ্চিত্রে এই মানুষটার সাথে স্ক্রিন শেয়ার করতে পেরেছি। ভীষণ মিস করি প্রিয় মান্না ভাইকে। ১৪ বছর দৃশ্যমান না থেকেও মান্না ভাই সবসময় আছেন আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্থানে। ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আপনার (মান্না) রুহের মাগফিরাত কামনা করি। প্রিয় মান্না ভাই, যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন।’
মান্না তার ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে কাজ করেন মান্না। প্রথম ছবি ব্যবসা সফল হওয়াতে মান্নাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
তার অভিনীত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
কাজী হায়াত পরিচালিত মান্নার ছবি ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ সুপারহিট হয়। মান্নাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তার জনপ্রিয় অন্যান্য ছবিগুলো মধ্যে ‘অন্ধ প্রেম’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘কে আমার বাবা’, ‘আম্মাজান’, ‘লাল বাদশা’ অন্যতম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন