যুদ্ধের হাঁকডাক বেশি পশ্চিমা গণমাধ্যমেরই | The shouts of war are mostly from the western media


ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো। অসমর্থিত সূত্রের বরাতে আসন্ন যুদ্ধের খবর দিয়ে বড় বড় সংবাদ করেছে তারা। সীমান্তে সেনা মোতায়েন মস্কোর নিয়মিত মহড়ার অংশ হলেও সম্ভাব্য আক্রমণের তারিখ ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমারা। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে যত না মানুষ উত্তেজিত হয়েছে, তার চেয়ে বেশি সংবাদের হেডলাইনে আতঙ্কিত হয়েছে বিশ্ব। তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই একের পর এক গুজব প্রচার করেছে তারা। সর্বশেষ শুক্রবার ভুয়া তথ্য দিয়ে যুদ্ধের তারিখ প্রচার করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। যদিও শুরু থেকেই এসব খবর মিথ্যা বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া।


শুক্রবার ব্লুমবার্গ অসমর্থিত তথ্যের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদনে জানায়, আগামী মঙ্গলবার নাগাদ সামরিক অভিযান শুরু হতে পারে। ডনবাস অঞ্চলে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে কিয়েভে হামলা হতে পারে। যদিও সেনা মোতায়েনের শুরু থেকে রাশিয়া বলে আসছে, তাদের হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ থেকে মনে হচ্ছে যুদ্ধ আসন্ন। খবর আরটি ও সিএনএনের।

এ সংবাদের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা ওই সংবাদমাধ্যমের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ইউক্রেনে মস্কোর আসন্ন হামলার খবরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় গুজব প্রচারের অংশ।


টেলিগ্রাম চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসের বায়বীয় অভিযোগ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য এই অঞ্চলে যে কোনো মূল্যে তাদের একটি যুদ্ধ দরকার, সেটি উস্কানি, গুজব বা হুমকির মাধ্যমে হতে পারে। আমেরিকার সামরিক-বেসামরিক ব্যবস্থাপনা এখন বহু মানুষের জীবন নেওয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। বিশ্ব দেখছে তাদের সামরিকায়ন, ব্লুমবার্গের মাধ্যমে এই প্রোপাগান্ডার সঙ্গে তার সংযোগ করছে তারা।


জাকারোভা বলেছেন, যা ঘটছে তার যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াতে ব্যস্ত রয়েছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা।


এর আগে শুক্রবার ব্লুমবার্গের ওই খবর প্রকাশিত হয়। ২৪ মিনিট ধরে চলার পর ওই সংবাদের শিরোনাম পরিবর্তন করে তারা। পরে সেখানে উল্লেখ করে, ইউক্রেনে আক্রমণ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। যদিও শেষে ওই নিউজ প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ এবং বাধ্য হয়ে ক্ষমা চায় তারা।


এর আগে ডের স্পাইজেল ও পলিটিকোর ন্যাটসেক ডেইলির সংবাদেও হামলার তারিখ প্রকাশ করা হয়েছিল। মূলত জানুয়ারি থেকে কয়েক দফায় এই সংবাদমাধ্যমগুলো যুদ্ধ শুরুর তারিখ প্রকাশ করেছে। তবে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। তারা বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রের বরাতে এসব খবর প্রকাশ করে।


গত বছরের শেষ দিকে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের পর মস্কোর বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসনের পরিকল্পনার অভিযোগ তুলে আসছে পশ্চিমারা। তবে রাশিয়া শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার অনুমতি দেবে না তারা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে কখনও ওই জোটের সদস্য হতে না পারে দেশটি তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের লিখিত প্রতিশ্রুতি চায় মস্কো। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, যে কোনো মুহূর্তে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Holy Foods ads

Holy Foods ads

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget