একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৭৪৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১০২ জন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৪১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ তিন হাজার ৩০৯ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৪টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ১৭৫টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৫৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ২৪৫টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে রয়েছেন ২১ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। মৃত ৩৪ জনের মধ্যে রয়েছেন ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের দুইজন, বরিশাল বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের দুইজন এবং রংপুর বিভাগের দুইজন রয়েছেন। মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ২৮ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ছয়জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৮১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৩১১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৮ হাজার ৬৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন