'আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই' ইউক্রেনে হামলা চালাবে রাশিয়া! আবারো বিস্ফোরক দাবি করল আমেরিকা। আর এবার এই দাবি করলেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন! বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, মস্কো মুখে বলছে যে তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু, বাস্তবতার সাথে এই দাবির কোনো মিল নেই। বস্তুত, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতেও ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক জমায়েত দেখা গেছে। বাইডেনের কথায়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আশঙ্কা 'অত্যন্ত বেশি'। হয়তো, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হামলা চালানো হবে!
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাইডেন জানান, তারা যে রাশিয়ার কথা বিশ্বাস করছেন না, তার পেছনে নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, "আমাদের কাছে যেটুকু তথ্য রয়েছে, তা থেকেই স্পষ্ট যে রাশিয়া আদতে ইউক্রেনের ভেতরে ঢোকার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ওরা সেনাসদস্যদের অপসারণ করেনি। বরং ইউক্রেন সীমান্তে আরও বেশি সংখ্য়ায় সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। যে 'ফ্ল্যাগ অপারেশন'-এর কথা বলা হচ্ছে, তা আদতে ভুয়া। আসলে, সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের দিকে পাঠাতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তার জন্যই 'ফ্ল্যাগ অপারেশন'কে শিখণ্ডী করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি ঘটনাই হামলার আশঙ্কার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। হয়তো আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনে ঢুকে পড়বে রুশ সেনাবাহিনী!"
সূত্রের দাবি, মার্কিন গোয়েন্দাদের তরফে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার ফের একবার এমন দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এদিকে, অন্য একটি সূত্র মারফত জানা গেছে, রুশ সামরিকবাহিনীর প্রায় অর্ধেকই এখন ইউক্রেনের সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে খুব বেশি হলে ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরে অবস্থান করছে তারা! বৃহস্পতিবার পশ্চিমের দেশগুলোর গোয়েন্দা রিপোর্টে অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে। যা সত্যি হলে চিন্তার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলোর দাবি, চলতি সপ্তাহের প্রথমেই অন্তত ১৪টি ব্য়াটেলিয়নকে সীমান্ত পেরোনোর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। তারা সেই অনুসারে কাজও করেছে। এছাড়াও, নতুন করে ক্রিমিয়ায় বিভিন্ন সামরিক যান আনা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সাথে একের পর এক বৈঠক করে চলেছে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ। মার্কিন গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই বৈঠকগুলোকে অজুহাত করেও ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া! বৃহস্পতিবার সকালে জাতিসঙ্ঘে আমেরিকার প্রতিনিধি তাদের এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এরই মধ্যে রাশিয়ার একটি পদক্ষেপ ওয়াশিংটনের রক্তচাপ আরো বাড়িয়েছে। মস্কোয় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে থাকা কূটনীতিককে কোনো কারণ ছাড়াই বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। এর পেছনেও ইউক্রেন হামলার পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছে ওয়াশিংটন।
সূত্র : এই সময়
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন