রাশিয়ার উপর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন। রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিকে আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জোর প্রস্তুতি চলছে।
সামরিক অভিযানের চতুর্থ দিনে খারকিভ এবং ইউক্রেনের রাজধানী কিভে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ সেনাকে। এই দুই জায়গায় জোর লড়াই চলছে দু’পক্ষের সেনার মধ্যে। একের পর এক রকেট হামলা চালিয়ে খারকিভে গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা। অন্য দিকে, কিভে তেল ভান্ডারেও বিস্ফোরণ ঘটানোর খবর পাওয়া গিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
ইতিমধ্যেই রাশিয়ার উপর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা জারি করেছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন। রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিকে আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জোর প্রস্তুতি চলছে। গত কয়েক দিন ধরে পশ্চিমের দেশগুলি রাশিয়াকে নানা ভাবে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল, সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে তার মাশুল গুনতে হবে। এ বার আর হুঁশিয়ারি নয়, রাশিয়াকে আর্থিক দিক থেকে পঙ্গু করে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিল পশ্চিমের দেশগুলি।
শনিবারই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল মাকরঁ, তুরক্সের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁদের কাছে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে ফোন করে সে দেশ থেকে রুশ সেনা সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর দেশের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে হবে। জার্মানি এবং ফ্রান্সও অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করা শুরু করেছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকেছে। রাশিয়ার আগ্রাসনী নীতি এবং সামরিক অভিযান নিয়ে সোমবার সদস্য দেশিগুলির মধ্যে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন