বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনিয়ে কর্নাটকের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু করার কথা জানিয়ে দেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে ভারতের কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই তার রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বরে শান্তি বজায় রাখার ওপর জোর দেন। তিনি রাজনৈতিক নেতাদের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনো বিবৃতি না-দিতে অনুরোধ করেন।
সম্প্রতি কর্নাটকের এক কলেজে হিজাব পরার কারণে ২৫ জন ছাত্রীকে কলেজে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এরপরই দক্ষিণ ভারতের এ রাজ্যে হিজাব নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, বিভিন্ন কলেজের ছাত্রীরা হিজাব পরে কলেজে আসতে চাইছেন। তাদের পাশে আবার দাড়িয়েছে, দলিত সংগঠন ভীম সেনা অনুমোদিত ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাম-কংগ্রেস ছাত্র সংগঠন। পাল্টা কর্মসূচিতে সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সদস্যরা গেরুয়া শাল গায়ে কলেজে আসা শুরু করে দেন।
এছাড়া ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কর্নাটকে গেরুয়া রঙের স্কার্ফ পরিহিত একদল ব্যক্তি ‘জয় শ্রী রাম' শ্লোগানে এক কলেজ ছাত্রীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর চিৎকার করছে।
ওই ছাত্রীও তখন ভিড়ের দিকে ফিরে দু'হাত তুলে ‘আল্লাহু আকবার' বলে চিৎকার করতে থাকেন। ওই ঘটনা আর ভিডিওটি পুরো ভারতেই আলোচনার ঝড় তুলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এ ভিডিওটি হিজাব বিতর্কের আগুনে আরো ঘৃতাহুতি দিয়েছে।
এরমধ্যেই ৮ ফেব্রুয়ারি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী, সমস্ত স্কুল-কলেজ তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তিনি ওই সময় জানিয়েছিলেন, কর্নাটক রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতেই সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বোম্মাই জানান, ছাত্র-ছাত্রীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হোক, তা তিনি চান না। পাশাপাশি, এ ঘটনার জেরে উত্তেজনা বাড়াটাও ঠিক না। ওই কারণে, রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসরণ করবে বলেও জানান কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।
এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় আদালত বলেছে, এ (হিজাবের) বিষয়ে রায় না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে শান্তি বজায় রাখতে হবে। এছাড়া বেঙ্গালুরুরের পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ বুধবার জারি করা এক নির্দেশনামায় বলেছেন, দু’সপ্তাহের জন্য সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দু’শ’ মিটারের মধ্যে বিক্ষোভ বন্ধ রাখতে হবে।
সূত্র : দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন