পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আরও জানান, র্যাব ইস্যুতে তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতা চায় না সরকার। এ বিষয়ে আমরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। মামলা লড়তে প্রতিনিধি নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আমরা তিনটি আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছি। সেখান থেকে আমরা সর্বোত্তম পরামর্শ নেব। এ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসব। তিনি আরও বলেন, আইনি ও কূটনৈতিক দুই প্রক্রিয়াই চলমান এপ্রিল ও মে মাসে সচিব ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আছে। এসব বৈঠকে ওই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।
র্যাবের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠাতে কূটনৈতিক চেষ্টার পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়া আবশ্যক বলে মনে করে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে লবিস্ট, আইনজীবী নিয়োগের পাশাপাশি মার্কিন আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোতে র্যাব এবং বাংলাদেশ নিয়ে যাতে নেতিবাচক ধারণা তৈরি না হয় সেজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ঢাকা। চলতি সপ্তাহে ভারত সফরে দেশটির থিংকট্যাংকের কাছে র্যাবের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ব্রিফ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলোচনায় বিষয়গুলো ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে ভারত বা অন্য কোনো দেশের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। এটা মোকাবিলা করার যথেষ্ট সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। আইনগত অথবা কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। এখানে আমরা তৃতীয় কোনো দেশকে জড়াতে চাই না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন