ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার ওপর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়ার ওপর ‘ধ্বংসাত্মক’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার ফোনালাপ থেকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো সমাধান না আসায় শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা ডেরেক চোলেট এই হুঁশিয়ারি দেন।
তবে ইউক্রেন সংকট নিরসনে এখনো কূটনীতিক সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তের তিন দিকেই ঘিরে রেখেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা ও ইউক্রেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, ইউক্রেনে খুব দ্রুত সময়ে হামলা চালাবে রাশিয়া।
এর মধ্যে ক্রিমিয়ায়, দুই দেশের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার অংশ এবং উত্তরে বেলারুশে সেনা শক্তি বাড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ইউক্রেইন এবং পশ্চিমা গোয়েন্দারা এ তিন এলাকাকে রণক্ষেত্র হিসেবে নজরে রাখছেন। এর প্রত্যেকটি এলাকাতেই রুশ সামরিক বাহিনীর অবস্থান পরিবর্তন চিহ্নিত করা হয়েছে।
যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করা হয়, সেটি কোথা থেকে শুরু হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়া ইউক্রেনের তিনটি পয়েন্টে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছে। ক্রিমিয়ার দক্ষিণে, দুদেশের সীমান্তের অংশে ও বেলারুশের দক্ষিণে।
২০১৪ সালে রাশিয়া তাদের ভূখণ্ডে উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে যুক্ত করে। এই দ্বীপ এখন ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। তবে এটি নিশ্চিত নয় যে, মস্কো ক্রিমিয়া থেকে আদৌ ইউক্রেনে হামলা করবে কিনা, তবে সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও বেলারুশ যৌথ সামরিক মহড়াও শুরু করেছিল। এটি ইউক্রেনে হামলার আরও সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন