যশোরের কেশবপুৱে ২৯৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৫৯টি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শহীদ মিনার। বাকি ২৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করতে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে জোর তাগিদ দিয়েও কাজ হয়নি।
এ কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো থেকে বঞ্চিত হবে। তবে কোথাও কোথাও অস্থায়ী বেদি তৈরি করে শ্রদ্ধা জানানো হয়ে থাকে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় ২৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৮, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭২, মাদ্রাসা ৫২ ও কলেজ রয়েছে ১২টি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৮ ও কলেজে সাতটি শহীদ মিনার রয়েছে। উপজেলার
কোনো মাদ্রাসায় এখনো শহীদ মিনার তৈরি করা হয়নি। যে ৫৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তার মধ্যে অনেকগুলোই নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে।
সরকারিভাবে দিবসটি পালনের নির্দেশনা থাকায় স্থায়ী শহীদ মিনারের অভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাহলে ভালো হয়।' শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা থেকে বঞ্চিত হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, 'করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে ফের জোর তাগিদ দেওয়া হবে।'
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরিতে সরকারি বরাদ্দ না থাকায় প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে।
শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, “মাতৃভাষা দিবসটি পালন করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে বরাদ্দ দিয়ে যদি শহীদ মিনার নির্মাণ করা যায়
১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে একযোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে এই দিবসটি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন