যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, `ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ‘এখনও ব্যাপক আশঙ্কা’ রয়েছে। তবে হামলা হলে মানবিক ক্ষয়ক্ষতি হবে ব্যাপক।' টেলিভিশনে দেশজুড়ে প্রচারিত এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
রাশিয়া হামলা চালালে সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত ছিল বলে জানান বাইডেন। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাশিয়া দেড় লাখের মতো সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।’
এদিকে, কিছু সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কিন্তু, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয়নি। বাইডেনের ভাষায়, ‘যদি (প্রত্যাহার) হয়ে থাকে, তাহলে ভালো। কিন্তু, রাশিয়ার সেনাদল নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে—এমন তথ্য আমরা কিন্তু এখনও যাচাই করতে পারিনি।’
বাইডেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখনও তারা (রুশ সেনারা) হুমকিমূলক অবস্থানে রয়েছে। আমেরিকার জনগণ জানে যে, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার কাজ কখনও বিনামূল্যে হয়নি। এটা বেদনাবিহীন হবে আমি তা ভাবছি না।’
রাশিয়ার নাগরিকদের উদ্দেশে জো বাইডেন বলেন, ‘আপনারা রাশিয়ার নাগরিকেরা আমাদের শত্রু নন এবং আমি বিশ্বাস করি না যে, আপনারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ধংসাত্মক যুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চান।
অন্যদিকে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর মঙ্গলবার ‘সতর্ক আশাব্যাঞ্জক’ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ন্যাটো।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভকে ফোনালাপে চলমান উত্তেজনার ‘যাচাইযোগ্য, নির্ভরশীল ও অর্থপূর্ণ প্রশমনের’ আহ্বান জানান।
এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটে বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ‘মিশ্র সংকেত’ আসছে। কারণ, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা দেখিয়েছেন ইউক্রেন সীমান্তে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করছে রাশিয়া, যেটি কি না শুধু আগ্রাসনের প্রস্তুতি হিসেবেই করার কথা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন