দেশে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিস্তারের মধ্যে গত এক দিনে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২১ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, সেদিন ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে গতকাল পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ২৮ হাজার ৬৭০ জন।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মোট মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৬৯ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ হাজার ৭৯১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ হাজার ১০৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩ হাজার ৬৭৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৬৩ জন, সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৩০১ জন, রংপুর বিভাগে ১ হাজার ৩৯২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ৮৭৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪১ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৩৫৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৫ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১০ হাজার ৮০০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ৭২৮ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। আগের দিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার ২১৭ জন। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে সক্রিয় রোগী কমতে শুরু করেছে।
ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার গত ২৮ জানুয়ারি ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছিল। তা কমতে কমতে মঙ্গলবার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ০৩ শতাংশে। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬২১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৭ শতাংশের বেশি।
গত এক দিনে যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের দুই জন, খুলনা বিভাগের ১৩ জন, রংপুর বিভাগের এক জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন এক জন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন